Advertisement
E-Paper

কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে গাছের নাম-ধাম, চন্দননগরের পথেই বটানিক্যাল গার্ডেন

একটি ক্লিকেই মিলবে গাছের নাম, বয়স, কার্যকারিতা-সহ বহু তথ্য। কিউআর কোডের মাধ্যমে এ বার সকলকে গাছ চেনানোর উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়ার শিবপুরের বটানিক্যাল গার্ডেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:২০
শনিবার বটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা কিউআর কোড স্ক্যান করে গাছের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।

শনিবার বটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা কিউআর কোড স্ক্যান করে গাছের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। —নিজস্ব চিত্র।

একটি ক্লিকেই মিলবে গাছের নাম, বয়স, কার্যকারিতা-সহ বহু তথ্য। কিউআর কোডের মাধ্যমে এ বার সকলকে গাছ চেনানোয় উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া শিবপুরের বটানিক্যাল গার্ডেন। গাছের সঙ্গেই থাকছে কিউআর কোড। এটি স্ক্যান করলেই সকলে সংশ্লিষ্ট গাছটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

হাওড়ার শিবপুরে রয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, যা বটানিক্যাল গার্ডেন নামেই সমধিক পরিচিত। ১৭৮৭ সালে হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে এশিয়ার বৃহত্তম এই উদ্ভিদ উদ্যান স্থাপন করেছিলেন কর্নেল রবার্ট কিড। প্রথমে ৩১৩ একর জমিতে এই উদ্যান স্থাপিত হয়।

বর্তমানে বহু প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। বিখ্যাত 'গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি' ছাড়াও আকর্ষনীয় বৃহৎ জল পদ্ম, জোড়া নারকেল, কল্প বৃক্ষ, সাদা ও লাল চন্দনের মতো গাছ রয়েছে এই উদ্যান। কিন্তু এখানে যাঁরা আসেন, তাঁদের অনেকেই জানেন না নির্দিষ্ট কোনও গাছের নাম কিংবা গুনাগুণ। প্রধানত শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসা ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে উদ্যান প্রশাসন সূত্রে খবর।

এই প্রসঙ্গে উদ্যানের অধিকর্তা দেবেন্দ্র প্রসাদ জানান, ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার গাছে কিউআর কোড লাগানো হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সমস্ত গাছে এই কিউআর কোড লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও কিনছেন কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য কিউআর কোডের মাধ্যমে গাছ চেনানোর উদ্যোগ এই প্রথম নয়। এর আগে একই ভাবে গাছ চেনানোর উদ্যোগ নিয়েছিল চন্দননগর পুরনিগম। পুরনিগমের তরফে শহরের স্ট্র‍্যান্ড, চার্চ আশপাশ মিলিয়ে কয়েকশো গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পর গাছগুলির গায়ে জিআই তার দিয়ে বাঁধা পিভিসি বোর্ডে কিউআর কোড মোবাইল ফোন দিয়ে স্ক্যান করলেই সেই গাছের নাম, বয়স, আনুমানিক আয়ু, কার্যকারিতা ইত্যাদি নানা তথ্য হাতের মুঠোয় চলে আসবে।প্রথম পর্যায়ে গাছ চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী।

শনিবার বটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা কিউআর কোড স্ক্যান করে গাছের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। রাজন্যা দাস নামে এক ছাত্রী বলেন, "খুবই ভাল লাগছে গাছের নাম ও তথ্য পেয়ে। পড়াশোনার কাজে সাহায্য হবে।”

QR Code Trees Botanicl Garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy