এই পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠছে। নিজস্ব চিত্র
সিঙ্গুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডের ধারে দু’টি পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠল। তার মধ্যে একটি পুকুর লাগোয়া সেচ দফতরের খালের একাংশ বুজিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসী এবং বিজেপি নেতৃত্বের তরফে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানানো হয়। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুকুর ভরাটের পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত রয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
বেআইনি ভাবে জলাশয় ভরাটের বিষয়টি অস্বীকার করেননি শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান জবা কর্মকার। তিনি বলেন, ‘‘পুকুর বোজানো রুখতে আইনত যা করার, আমরা করেছি। একটি ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই মালিককে নোটিস দিয়ে নিষেধ করেছি পুকুর বোজাতে। অন্য পুকুরের মালিককে তাঁর বক্তব্য জানাতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ব্লক ভূমি দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খাল বোজানোর বিষয়টি পঞ্চায়েতের তরফে সেচ দফতরকে জানানো হবে।’’
এলাকাবাসীর ক্ষোভ, সিঙ্গুরের হোটেল ধারে একটি বড় পুকুর বোজানো শুরু হয় কিছুদিন আগে। ওই পুকুরের লাগোয়া সেচ দফতরের খাল রয়েছে। অভিযোগ, ওই খালের একাংশও বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। কী ভাবে সরকারি খালের একাংশ বুজিয়ে ফেলা হল, সেই প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডের অভিযোগ, ‘‘তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটী রোডের ধারে জমির এখন প্রচুর দাম। স্থানীয় প্রোমোটার চক্র পুকুর বুজিয়ে জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছে। আমরা বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের নজরে এনেছি। বেআইনি কাজ বন্ধ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’
সিঙ্গুরের পালপাড়া মোড়ের কাছে ওই রাস্তার পাশে আরও পুকুর বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়েরা। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গৌতম মোদক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ছাড়াও ব্লক ভূমি দফতর এবং ব্লক অফিসেও আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। এলাকার একের পর এক পুকুর বুজে যাচ্ছে একটি চক্রের হাতে পড়ে, এটা ঠিক নয়। পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy