লোকসভা ভোটে নিজেদের এলাকায় দল পিছিয়ে পড়ার দায় নিয়ে গত শুক্রবার প্রশাসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন হুগলির চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধান। তার পাঁচ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার ওই আট জনই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, ‘মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়েই’ সিদ্ধান্তে বদল।
এর আগে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে সহমত চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এ দিন বলেন, ‘‘এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কেউই পদত্যাগের পক্ষে নন। সে কথা ওই প্রধান, উপপ্রধানদের জানানোয় তাঁরা মত বদল করেছেন। এখন থেকে সকলেই আরও সজাগ ভাবে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।’’
কোদালিয়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুকান্ত ঘোষ, উপপ্রধান দেবাশিস চক্রবর্তী, কোদালিয়া ২-এর প্রধান বেলা মাজি ঘোষ, উপপ্রধান সুচেতা মান্না, ব্যান্ডেলের প্রধান ইন্দু পাসোয়ান, উপপ্রধান প্রদীপ রায়, দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রুমা পাল ও উপপ্রধান পীযূষ ধর মঙ্গলবার সকালে বিডিও কার্যালয়ে গিয়ে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এ বার জিতেছেন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে তিনি পিছিয়ে। যার মধ্যে সর্বাধিক সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ভোটে রচনা পিছিয়ে চুঁচুড়ায়। এই বিধানসভার সাতটির মধ্যে চারটি পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে শাসকদল। বাকিটা হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায়।
এমন ফলাফল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অপ্রত্যাশিত। ফল ঘোষণার পরেই বিষয়টি নিয়ে অসিত দফায় দফায় বৈঠক করেন পঞ্চায়েত ও পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, পিছিয়ে থাকা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অসিতের ধমক খেতে হয়েছিল। তারপরেই ওই আট জন ইস্তফাপত্র জমা দেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)