E-Paper

ভাঙন দেখল কেন্দ্রীয় দল, আশায় বলাগড়

গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট থেকে একটি লঞ্চে পরিদর্শনকারী দল সূর্যমন্দির হয়ে চরকৃষ্ণবাটী পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে লঞ্চ গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটে ফেরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০
বলাগড়ে গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল।

বলাগড়ে গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র।

হুগলিতে গঙ্গার ভাঙন পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রণালয় ও গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের আধিকারিকরা। এই জেলায়, বিশেষত বলাগড় ব্লক ভাঙনে জেরবার। কেন্দ্রের সরেজমিন পরিদর্শনের পরে ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্যবস্থার আশা করছেন বলাগড়বাসী।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ গুপ্তিপাড়ায় আসেন কমিশনের উপ-অধিকর্তা রঞ্জিৎ কুমার এবং সহ-অধিকর্তা দীপক কুমার ও রোশন কুমার। এখানে বৈঠক হয়। স্থানীয় সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক (সদর) স্মিতা শুক্লা সান্যাল, বিডিও (বলাগড়) সুপর্ণা বিশ্বাস, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাঝি এবং‌ গুপ্তিপাড়া ১ ও ২ পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানরা বৈঠকে ছিলেন।

গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট থেকে একটি লঞ্চে পরিদর্শনকারী দল সূর্যমন্দির হয়ে চরকৃষ্ণবাটী পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে লঞ্চ গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটে ফেরে। রচনা চলে যান। পরবর্তী পর্যায়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সুন্দরপুর থেকে লঞ্চে চেপে চাঁদরা, খয়রামারি হয়ে খামারগাছি পর্যন্ত পরিদর্শন সারেন। ড্রোনে ছবি তোলা হয়। জলের গভীরতা মাপা হয়। নিম্ন দামোদর সেচ দফতরের (সিঙ্গুর ডিভিশন) এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম অধিকারী-সহ অন্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নদী বিশেষজ্ঞও।

রঞ্জিৎ কুমার জানান, সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কমিশনের চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁরা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছেন। পরিদর্শনের পরে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেবেন।

কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা অবশ্য পারে নামেননি। চাঁদরায় বেশ কিছু মানুষ গঙ্গাপারে জড়়ো হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, ভাঙনের জেরে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি দেখাবেন তাঁদের। কিন্তু ওই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তাঁদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চন্দনা পাড়ুই নামে এক মহিলার হতাশা, ‘‘সাংসদের সঙ্গে কেন্দ্রের দল আসবে শুনে সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়েছিলাম ভাঙনের জেরে আমাদের দুর্দশার কথা শোনাব বলে। এল না। লঞ্চে করে চলে গেল।’’

রচনার বক্তব্য, এর আগে তিনি ভাঙনের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন, গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেচ দফতরও পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘ওদের (কেন্দ্রীয় দল) কাছে সব কাগজপত্র দেওয়া আছে। নিশ্চয়ই দেখবে।’’ বলাগড়ের পরে চন্দননগরেও ভাঙন পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

সেচ দফতরের খবর, আজ, শুক্রবার ভদ্রেশ্বরে পরিদর্শন করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Central Team

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy