সিরিঞ্জ চকলেট ধরপাকড় অভিযান পুলিশের। চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ।
ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে চকলেট বিক্রি নিয়ে শোরগোল পড়েছে হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায়। মঙ্গলবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলার খাদ্যসুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা এখানকার ৪টি দোকানে হানা দিয়ে এই ধরনের বেশ কিছু চকলেট বাজেয়াপ্ত করেছে।
খাদ্যসুরক্ষা দফতর জানিয়েছে, এই চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত কি না, পরীক্ষা করে দেখা হবে। কমিশনারেটের কর্তারা জানান, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই সিরিঞ্জ কোথা থেকে আসছে, সেগুলি আসল কি না, সে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কি না, এই সব অনুসন্ধান করে দেখা হবে।
গত কয়েক দিন ধরে ‘ডক্টর্স চকলেট’ নাম দিয়ে বিভিন্ন দোকানে এগুলি বিক্রি হচ্ছে। একটির দাম ৫ টাকা। ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে ভরা থাকায় এই চকলেটের প্রতি শিশুরা আকর্ষিত হচ্ছে। চকলেট শেষ হলে সিরিঞ্জ খেলনা হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। তবে, সিরিঞ্জ কী ভাবে এই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকেরাও এই প্রশ্ন তুলছেন। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, সিরিঞ্জ মুখে নিয়ে শিশুরা পিস্টনে জোরে চাপ দিলে আঠালো চকলেট গলায় আটকে বিপত্তি ঘটতে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিষয়টি কানে যেতে কমিশনারেট এবং খাদ্যসুরক্ষা দফতর নড়েচড়ে বসে।
হইচই শুরু হতেই দোকানদারদের অনেকে এই চকলেট সরিয়ে ফেলেন। সেলসম্যানেরা জানান, নৈহাটি থেকে তাঁরা এই চকলেট এনে দোকানে সরবরাহ করছেন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শুধু চুঁচুড়াই নয়, জেলার অন্যত্রও এই চকলেট বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। চণ্ডীতলার মশাট বাজারের একটি দোকানের মালিক তপন
আদক বলেন, ‘‘কলকাতার বড়বাজার থেকে এই চকলেট কিনে এনে বেচছি। তবে, কাগজে খবর দেখে বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy