নেই চেয়ার-টেবিল, নেই পাখাও। গরমে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েই মিড-ডে মিল খাচ্ছে পড়ুয়ারা। ছবি: সুব্রত জানা
চেয়ার-টেবিল নেই। নেই পাখা। কেউ ঝোপের পাশে ইটের উপরে বসে, কেউ কোমরসমান পাঁচিলের উপরে থালা রেখে খাচ্ছে মিড-ডে মিল!
দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে দুপুরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা। অথচ, তাপমাত্রার পারদ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন ভরদুপুরে খোলা আকাশের নীচে মিড-ডে মিল খেতে হচ্ছে উলুবেড়িয়ার বাণীবন যদুরবড়িয়া বিদ্যাপীঠের পড়ুয়াদের।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অবিভাবকরা। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বারে বারে বলেছি, মিড-ডে মিল কোনও ঘরে খাওয়ানো হোক, যেখানে পাখা আছে। ওঁরা শোনেননি। এই গরমে বাইরে দাঁড়িয়ে ছেলেদের খেতে হয়। যেখানে ওঁরা খায়, তার আশেপাশে জঙ্গল, পুকুর। এমন অব্যবস্থা কেন?’’
অভিভাবকদের একাংশের দাবি, পড়ুয়াদের ওআরএস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থাও করেননি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত কাঁড়ার বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য ডাইনিং-রুম তৈরির প্রস্তাব বারে বারে শিক্ষা দফতরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ হয়নি। প্রতিদিন সাত-আটশো পড়ুয়া খায়। তাদের ক্লাসে বসিয়ে খাওয়ানো হলে পড়াশোনার অসুবিধা হবে। তাই ভাগ ভাগ করে খাওয়ানো হয়। চারদিক খোলা, মাথায় ছাদ দেওয়া একটি জায়গা রয়েছে। পড়ুয়ারা সেখানেই খায়। দু’-একটা ছেলে হয়তো থালা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। আর সব ছাত্রকে ওআরএস দিতে হবে, এমন কোনও নির্দেশিকা আমাদের
কাছে আসেনি।’’
জেলার অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক বনমালী জানা অবশ্য বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল এই ভাবে যদি খাওয়ানো হয়, তা হলে লজ্জাজনক। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। আর, প্রত্যেক স্কুলকেই বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের ওআরএস এবং জলের ব্যবস্থা করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy