E-Paper

সাদা বোঁদের দ্রুত স্বীকৃতি চান ব্যবসায়ীরা

সাদা বোঁদের বৈশিষ্ট্য, গুণাবলি ইত্যাদি নানা তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছিল বছর কয়েক ধরেই।

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫৪
হুগলির কামারপুকুরের ৈসাদা বোঁদে।

হুগলির কামারপুকুরের ৈসাদা বোঁদে। নিজস্ব চিত্র।

ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই) পাওয়ার পথে এগোচ্ছে কামারপুকুরের সাদা বোঁদে। এই খবরে বেজায় খুশি হুগলি জেলার এ তল্লাট। অনেকেই বলছেন, ভূ-ভারতে কামারপুকুর বাদে সাদা বোঁদের কথা শোনা যায় না। ফলে, কামারপুকুরে এই ‘নিজস্ব’ মিষ্টান্ন স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য বলেই তাঁরা মনে করেন। যত দ্রুত স্বীকৃতি মিলবে, তত এই মিষ্টির নামডাক অন্যত্র ছড়াবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

সাদা বোঁদের বৈশিষ্ট্য, গুণাবলি ইত্যাদি নানা তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছিল বছর কয়েক ধরেই। রাজ্যের পেটেন্ট ইনফর্মেশন সেন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট সমস্ত নথি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর পরে স্বীকৃতি মেলার আশা তৈরি হয়েছে।

কী বলছে কামারপুকুর?

বীরেশ্বর মোদক নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমরা জিআই চেয়ে আবেদন করেছিলাম। স্বীকৃতি পেলে সরকারি তরফে এই মিষ্টির রফতানির ব্যবস্থাও মসৃণ হবে। স্বীকৃতি দ্রুত মিললে খুব ভাল হয়।” একই বক্তব্য শান্তিনাথ মোদক, কাশীনাথ মোদক, হরিসাধন দাস, শুভজিৎ লাহা প্রমুখ মিষ্টি ব্যবসায়ীর। খুশি কামারপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান রাজদীপ দে, উপপ্রধান শুভ্রপ্রকাশ লাহা প্রমুখ জনপ্রতিনিধিও।

এখানে সাদা বোঁদে তৈরির গোড়ার কথা নিশ্চিত করে জানা যায় না। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, তাঁরা বংশানুক্রমে শুনে আসছেন, এই মিষ্টি প্রায় দু’শো বছরের প্রাচীন। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর বাড়ি (বর্তমানে রামকৃষ্ণ মঠ) সংলগ্ন সত্য ময়রার দোকান থেকে সাদা বোঁদে ও জিলিপি কিনে খেতেন। ওই বংশের বর্তমান প্রজন্মের কাশীনাথ মোদক বলেন, “পূর্বপুরুষদের কাছে শোনা, ঠাকুর সাদা বোঁদে ছাড়াও জিলিপিও খেতেন। বলতেন জিলিপির গাঁটে গাঁটে রস।’’ আরামবাগ মহকুমার বিশিষ্ট চিকিৎসক বীরেশ্বর বল্লভের কথায়, “কামারপুকুর, শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সাদা বোঁদে— এই তিন অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত। এই মিষ্টি আর কোথাও পাওয়া যায় না। এই ঐতিহ্যের জিআই তকমা পাওয়ারই কথা।” কামারপুকুর মঠ ও মিশনের এক সন্ন্যাসী অবশ্য জানান, শ্রীরামকৃষ্ণ যে সাদা বোঁদে খেতে ভালবাসতেন, এ রকম কোনও নথি তাঁদের কাছে নেই। তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে এখানকার সাদা বোঁদে যে বিশেষ, মানতেই হয়। বহু জায়গায় ভ্রমণে গিয়েছি। সাদা বোঁদে আর কোথাও দেখিনি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kamarpukur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy