E-Paper

আট বছরেও চালু হল না ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে খানাকুলের দু’টি ব্লকের অধিকাংশ প্রসূতিকেই বাধ্য হয়ে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪০
ব্লাড সংরক্ষণ ইউনিটের ঘর বন্ধ অবস্থায়।  খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে।

ব্লাড সংরক্ষণ ইউনিটের ঘর বন্ধ অবস্থায়।  খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালের ‘ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট’ আজও চালু হল না। আরামবাগ মহকুমা ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে রক্ত এনে ওই ইউনিটে সংরক্ষণ করার কথা ছিল। জেলা এবং মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের তৎকালীন কর্তারা জানিয়েছিলেন, বিশেষত প্রসূতিদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই ইউনিটের ব্যবস্থা। কিন্তু দীর্ঘ দিনের দাবি সত্ত্বেও জরুরি এই পরিষেবাটি চালু না হওয়ায় স্থানীয় মানুষ সরকারি বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে খানাকুলের দু’টি ব্লকের অধিকাংশ প্রসূতিকেই বাধ্য হয়ে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।

ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বজায় রাখতে আপৎকালীন বা হটলাইন সংযোগ নেই। নেই বিশেষ শক্তি সম্পন্ন জেনারেটরও। লোডশেডিং হলে রক্ত সংরক্ষণ করা যাবে না। এ ছাড়া, প্রশিক্ষিত কর্মীও নিয়োগ করা হয়নি।

খানাকুলের দু’টি ব্লকের ২৪টি পঞ্চায়েত এলাকার মূল সমস্যা একাধিক নদ-নদীকে কেন্দ্র করে। ব্লক দু’টির মধ্যে দিয়ে মুণ্ডেশ্বরী নদী এবং তার একাধিক শাখা, দামোদর নদ ও দ্বারকেশ্বর নদ প্রবাহিত রয়েছে। রয়েছে একাধিক খাল-বিলও। বিশেষত বর্ষায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ লেগেই থাকে। এই এলাকায় পরিষেবাটির প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে খানাকুল ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্তকুমার মজুমদার বলেন, “কিছু পরিকাঠামো এবং কর্মীর ঘাটতি আছে। সে সব ঘাটতি মিটিয়ে ইউনিটটি যাতে দ্রুত চালু করা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সরকার তা বিবেচনা করছে।’’

হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, “কর্মী বা পরিকাঠামোর ঘাটতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

blood bank

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy