E-Paper

হাওড়ায় শব্দ-তাণ্ডবে সচেতনতার অভাবকেই দুষছে পুলিশ

কালীপুজোর সন্ধ্যায় প্রথমে সে ভাবে বাজির শব্দ পাওয়া না গেলেও রাত ৯টার পরে হাওড়ার সর্বত্র শব্দবাজির দাপট শুরু হয়। তাতে কান ঝালাপালা হওয়ার মতো অবস্থা হয় স্থানীয়দের।

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৩
An image of Firecrackers

—প্রতীকী চিত্র।

কালীপুজোর আগে হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল চার হাজার কেজি। তা সত্ত্বেও কালীপুজোয় রাত বাড়তেই বেপরোয়া ভাবে গোটা হাওড়া জুড়ে ফাটতে থাকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। রাত ১২টার পরেও শব্দবাজির দাপটে অতিষ্ঠ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া সিটি পুলিশ শব্দদানবের তাণ্ডবের কথা কার্যত মেনে নিলেও তাঁদের যুক্তি, পুলিশ শব্দবাজি রুখতে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিল। যখনই কোনও জায়গা থেকে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ এসেছে, তখনই সেখানে ছুটে গিয়েছে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবু মানুষ সচেতন না হওয়ায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করা যায়নি।

কালীপুজোর সন্ধ্যায় প্রথমে সে ভাবে বাজির শব্দ পাওয়া না গেলেও রাত ৯টার পরে হাওড়ার সর্বত্র শব্দবাজির দাপট শুরু হয়। তাতে কান ঝালাপালা হওয়ার মতো অবস্থা হয় স্থানীয়দের। রাত দেড়টার সময়ে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে দেখা যায়, রাস্তার উপরেই বাজি ফাটানো চলছে। তবে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই সব বন্ধ হয়ে যায়।

হাওড়ার ক্লাবগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, বহুতলগুলি থেকে বাজি ফাটানো বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু অভিযোগ, কালীপুজোর রাতে বহুতলের ছাদ থেকেই বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। বালি থেকে বেলুড়, আন্দুল রোড থেকে শিবপুর— সর্বত্রই এই একই চিত্র। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় কিছু ক্ষণের জন্য বাজি ফাটানো বন্ধ হলেও পুলিশ চলে যেতেই ফের শুরু হয়েছে শব্দতাণ্ডব।

কিন্তু পুলিশি তৎপরতা সত্ত্বেও এত শব্দবাজি ফাটল কেন? হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (হেড কোয়ার্টার্স) অলকানন্দা ভাওয়াল সোমবার বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে প্রায় চার হাজার নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কালীপুজোর দিনই ১৬ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। তা সত্ত্বেও কালীপুজোর রাতে হাওড়ার কয়েকটি জায়গায় শব্দবাজি ফাটার খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ আধিকারিকেরা সেখানে ছুটে গিয়েছেন। মানুষকে বোঝাতে তাঁরা শুনেছেন। আসলে এখনও মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে, তাই এমনটা হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Firecrackers noise pollution Howrah Kali Puja Diwali Howrah Police

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy