Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Traffic Police

সকাল থেকেই তৎপরতা তুঙ্গে, যানজট আটকে হাওড়ায় পাশ পুলিশ

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা ছিল বলে বৃহস্পতিবারই হাওড়া সেতুর ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ড ও হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে সমস্ত দখলদার ও হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

শুক্রবার দিনের ব্যস্ত সময়ে এত ভিভিআইপি-র যাতায়াত সত্ত্বেও সে ভাবে কোথাও যানজট হয়নি বলেই পুলিশের দাবি।

শুক্রবার দিনের ব্যস্ত সময়ে এত ভিভিআইপি-র যাতায়াত সত্ত্বেও সে ভাবে কোথাও যানজট হয়নি বলেই পুলিশের দাবি। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:২৩
Share: Save:

হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশরীরে আসতে পারেননি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ট্রেনটির সূচনা করেছেন। তা-ও শুক্রবার হাওড়া শহর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি ছিল না। অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি-দের যে সমস্ত রাস্তা দিয়ে আসার কথা ছিল, সেখানে পদস্থ পুলিশকর্তারা নেমে যানশাসন করায় মানুষকে যানজটে বিশেষ ভুগতে হয়নি।

হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী-সহ ভিভিআইপি-দের নিয়ে আসার জন্য দু’টি রুট ঠিক করে রেখেছিল পুলিশ। প্রথমটি হল, কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোড ধরে এসে হাওড়া সেতু ও বঙ্কিম সেতু হয়ে। দ্বিতীয়টি হল, বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে এসে ফোরশোর রোড ও নিউ ক্যাব রোড হয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী বা রাজ্যপাল, কেউই ফোরশোর রোড দিয়ে আসেননি। সকলেই হাওড়া সেতু ও বঙ্কিম সেতু হয়ে ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছেছেন।

এ দিন হাওড়া সেতুতে কর্তব্যরত পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর জন্য হাওড়া স্টেশন চত্বর, হাওড়া সেতু, বঙ্কিম সেতু-সহ হাওড়া শহরের আটটি জায়গা চিহ্নিত করে নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী না এলেও সেই ব্যবস্থাপনাই রাখা হয়। তিনি জানান, এ দিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাওড়া সিটি পুলিশের ১৭৫ জন পদস্থ আধিকারিক রাস্তায় ছিলেন। দু’টি রুটকে আটটি সেক্টরে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। সেই আটটি জায়গায় পুলিশকর্মী ও ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন মোতায়েন ছিলেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল, সকলেই বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে পৌঁছে যান। দিনের ব্যস্ত সময়ে এত ভিভিআইপি-র যাতায়াত সত্ত্বেও সে ভাবে কোথাও যানজট হয়নি বলেই পুলিশের দাবি।

এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘‘নিত্যযাত্রীদের হয়রানির কথা মাথায় রেখেই ভিআইপি মুভমেন্টের সময়ে কয়েক মিনিটের জন্য যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে পথ করে দেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের হয়রানি হয়নি।’’

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা ছিল বলে বৃহস্পতিবারই হাওড়া সেতুর ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ড ও হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে সমস্ত দখলদার ও হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে যান চলাচল ও হাঁটাচলা, দুটোর পরিসরই বেড়ে যায়। দু’দিন আগে থেকেই ফোরশোর রোড, ক্যাব রোড, বঙ্কিম সেতু ও হাওড়া স্টেশন চত্বর বা সি আর রোড সাফসুতরো করে নীল-সাদা রং করে দেওয়া হয়। পাইকারি মাছ বাজার ও আনাজ বাজার টিন আর কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। যার জেরে চেনা পথও অচেনা লাগছিল অনেকের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE