বিয়েবাড়িতে বরের জুতো লুকিয়ে রেখে টাকা আদায় করে থাকেন শ্যালিকারা। সেই ‘ফন্দি’ দিয়ে ব্যবসায়ীকে বোকা বানিয়ে ক্যাশবাক্স সাফ করে পালাল চোর। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগহলির হিন্দমোটর বিবি স্ট্রিটে। সিসিটিভি দেখে থ হয়ে গিয়েছে সকলে। চলছে চোরের খোঁজ।
হিন্দমোটর বিবি স্ট্রীটে ওষুধের দোকান মনোজ মুখোপাধ্যায়ের। বুধবার সকালে মনোজের বাবা বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দোকান খোলেন। তখন এক জন প্রৌঢ় ওষুধ কিনতে যান ওই দোকানে। তাঁকে ওষুধ দিয়ে দেন বিপ্লব। কিছু ক্ষণ বাদে আরও এক জন ক্রেতা আসেন। তিনি অবশ্য বেশ কয়েক’টি ওষুধ দেখার পর কিছু না কিনে চলে যান। তার পর দোকানের সামনে মেঝে ঝাঁট দেওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়ে যান বৃদ্ধ। কিন্তু তিনি দেখেন দোকানের সামনে খুলে রাখা তাঁর জুতোর এক পাটি নেই। সেটা খুঁজছিলেন। তখন এক যুবক বিপ্লবের কাছে গিয়ে বলেন একটি কুকুর মুখে করে জুতো নিয়ে গিয়েছে। তাই শুনে পথকুকুরের পিছু নেন বিপ্লব। জুতো খুঁজে এনে আবার দোকানে বসেন বিপ্লব। কিন্তু ক্যাশবাক্সে চোখ পড়তেই চমকে ওঠেন তিনি। দেখেন, ক্যাশবাক্স ফাঁকা! কী ভাবে সম্ভব?
দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার সৌজন্যে রহস্যের সমাধান হয়। দেখা যায়, বৃদ্ধ দোকান খুলে রেখে জুতো খুঁজতে যাওয়ার খানিক ক্ষণের মধ্যে এক জন লোক দোকানে ঢুকে সটান ক্যাশবাক্সে হাত দিয়েছেন। তার পর টাকা পকেটে ঢুকিয়ে ধীরে সুস্থে বেরিয়ে যান দোকান থেকে। সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লব এবং তাঁর পুত্র খবর দেন পুলিশকে। তারাও গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে।
আরও পড়ুন:
দোকানমালিক মনোজ বলেন, ‘‘একটি দল এই কেপমারি করছে। সকালে বাবা দোকান খুলতে এসেছিল। তখনই ওরা টার্গেট করেছে। ওষুধ কেনার অছিলায় ক্যাশবাক্স কোথায় আছে, সেটা দেখে যায় একজন। আর একজন এসে বাবার জুতো সরায়। তার পর আর একজন এসে বলে, কুকুরে জুতো নিয়ে গিয়েছে। বাবা দোকান ফাঁকা রেখে জুতো খুঁজতে যেতেই ক্যাশবাক্স সাফ করে যায় আর একজন।’’ ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ক্যাশবাক্সে হাজার দশেক টাকা ছিল। তার সবই নিয়ে গিয়েছে চোরের দল।