Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Goghat Gallery

পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে গ্যালারি গোঘাটের মাঠে

৫০০ আসন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। পরের আর্থিক বছরে আরও ৫০০ আসনের গ্যালারি হবে। আলো হবে, ড্রেসিংরুম হবে। ক্রীড়ার বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে।

গ্যালারি তৈরির কাজ চলছে। গোঘাট হাই স্কুল মাঠে।

গ্যালারি তৈরির কাজ চলছে। গোঘাট হাই স্কুল মাঠে। নিজস্ব চিত্র ।

পীযূষ নন্দী
গোঘাট শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০২
Share: Save:

হুগলির আরামবাগ মহকুমায় খেলার মাঠের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। কোনও মাঠেই এতদিন গ্যালারি ছিল না। সেই আক্ষেপ ঘুচতে চলেছে। গোঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এক হাজার আসনের গ্যালারি।

প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিকল্পনা রয়েছে পুরোদস্তুর স্টেডিয়াম গড়ার। এই উদ্যোগে খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সকলেই খুশি। এই মাঠটি অবশ্য ক্রিকেট বা ফুটবলের জন্য পূর্ণ দৈর্ঘ্যের নয়। তবে, স্টেডিয়াম হলে মহকুমা তথা হুগলি জেলার খেলাধুলোর আবহে নতুন মাত্রা
যোগ হবে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই
মনে করছেন।

বিডিও (গোঘাট ১) সম্রাট বাগচী জানান, কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তহবিলে এক হাজার আসনবিশিষ্ট গ্যালারি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দে ৫০০ আসন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। পরের আর্থিক বছরে আরও ৫০০ আসনের গ্যালারি হবে। আলো হবে, ড্রেসিংরুম হবে। ক্রীড়ার বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে। বিডিও বলেন, ‘‘খেলাধূলার উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এখানে অনেক প্রতিভাবন খেলোয়াড় আছেন।’’ এই মাঠটি দমদমা মাঠ নামে পরিচিত।

আরামবাগ মহকুমায় খেলার মাঠ আছে অনেক। বড় মাঠগুলিতে স্টেডিয়ামের দাবিও অনেক দিনের। পুরসভার কালীপুর বিজয় ক্রীড়াঙ্গন তথা কালীপুর স্পোটর্স কমপ্লেক্সে স্টেডিয়ামের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা আজও হয়নি। খেলাধুলোর মানোন্নয়নে সরকারি উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্রীড়াপ্রেমীদের ক্ষোভ বিস্তর। এর মধ্যে এক হাজার আসনবিশিষ্ট গ্যালারি তৈরির উদ্যোগ নিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখাল গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতি।

আরামাবাগ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নয়ন তরফদার কলকাতার ক্লাবে ফুটবল খেলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘খেলাধূলার চর্চা ও মানোন্নয়নে গোঘাট পঞ্চায়েত সমিতির এই ভূমিকা প্রশংসনীয়। মহকুমার আরও কিছু মাঠে স্টেডিয়াম হোক, আমরা চাইছি।’’ একই বক্তব্য মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সহকারী সম্পাদক দিলীপ রায়, আরামবাগ স্টার ক্রিকেট অ্যাকাদেমির কোচ মানস দে প্রমুখের।

মহকুমায় বেশির ভাগ মাঠই
নাইন-এ-সাইড খেলার জন্য। ক্রীড়াপ্রেমীদের অভিযোগ, অধিকাংশ মাঠ তদারকি এবং সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। খেলার প্রসারের বদলে মাঠে মেলা আর সভা হচ্ছে। যদিও মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বেশ কিছু জায়গায় মাঠ সংস্কার হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে নানা খেলার প্রতিযোগিতাও হচ্ছে।’’

মহকুমায় স্টেডিয়াম নিয়ে যে অতীতে একেবারেই চিন্তাভাবনা হয়নি, তা নয়। বাম আমলের শেষ দিকে আরামবাগ পুরসভার তরফে কালীপুরে দশ-বারো বিঘা জমি কিনে ‘বিজয় মোদক আবাসিক ক্রীড়াঙ্গন’ নামে স্টেডিয়াম তৈরির চিন্তাভাবনা হয়। পুরসভায় বাম বোর্ড থাকতে পাঁচিল দিয়ে মাঠ ঘেরা হয়। একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে তৃণমূল পুরবোর্ড এখনও পর্যন্ত আরও একটি ভবন তৈরির প্রক্রিয়া চালানো বাদে আর কিছুই করেনি বলে অভিযোগ। পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা এখনও রূপ পায়নি। তবে, শীঘ্রই আমরা এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Goghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE