স্কুলের সামনের রাস্তায় এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত ও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে এক শিক্ষক এবং অন্য এক শিক্ষিকা আক্রান্ত তো হলেনই, ওই যুবকেরা হেনস্থার মুখে পড়া ওই শিক্ষিকাকেও রেয়াত করেনি বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় আমতার একটি হাই স্কুলে। ঘটনার জেরে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়।
স্কুল থেকে সব শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং কয়েক জন গ্রামবাসী গিয়ে অভিযুক্তদের একজনকে ধরে ফেলেন। দু’জন চম্পট দেয়। স্কুলের স্টাফরুমে আটক যুবককে তালাবন্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ততক্ষণে গ্রামবাসী
সেখানে গিয়ে ওই যুবককে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পরে আরও দুই অভিযুক্তকে ধরা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘ওই শিক্ষিকা আসেন দমদম থেকে। এই
ঘটনার পরে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিলেন। অভিযোগ, স্কুলের কাছেই রাস্তার ধারে সেই সময় আড্ডা মারছিল কয়েক জন
যুবক। তাদের মধ্যে তিন জন ওই শিক্ষিকার পিছু নেয় এবং
তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ।
সেই সময় উল্টো দিক থেকে অন্য এক স্কুলের শিক্ষক দম্পতি মোটরবাইকে আসছিলেন। তাঁরা প্রতিবাদ জানান। শিক্ষককে
যুবকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। যে শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল, তাঁর সহকর্মী এক শিক্ষিকাও স্কুলে আসার পথে ঘটনাটি দেখতে পান। তাঁরাও আক্রান্ত শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায়
দু’জনেই জখম হয়েছেন বলে স্কুল সূত্রের খবর।
স্কুলে অভিযুক্তদের একজনকে ধরে আনা হলে কয়েকশো গ্রামবাসী হাজির হন। স্টাফরুমের তালা ভেঙে ফেলার উপক্রম করেন তাঁরা। পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)