Advertisement
১১ মে ২০২৪
Chinsurah

চুঁচুড়ায় তৃণমূলের সম্মেলনে জমাটি ভিড়, করোনাবিধি অমান্য হয়নি, দাবি বিধায়কের

চুঁচুড়ার অনুষ্ঠানে দূরত্ববিধি অগ্রাহ্য করে প্রতিটি আসনেই দর্শক বসেছিলেন বলে অভিযোগ। বেশির ভাগই মাস্কবিহীন। মাস্ক পরলেও তা ঝুলছে গলার কাছে।

রবীন্দ্র ভবনের বিজয়া সম্মেলনে দূরত্ববিধি অগ্রাহ্য করে প্রতিটি আসনেই দর্শক বসেছিলেন।

রবীন্দ্র ভবনের বিজয়া সম্মেলনে দূরত্ববিধি অগ্রাহ্য করে প্রতিটি আসনেই দর্শক বসেছিলেন। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৯:২৮
Share: Save:

করোনাবিধির তোয়াক্কা না করেই ভিড়ে ঠাসা সভাঘরে বিজয়া সম্মেলন পালন করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার চুঁচুড়ার ওই অনুষ্ঠানে দূরত্ববিধি অগ্রাহ্য করে প্রতিটি আসনেই দর্শক বসেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বেশির ভাগই মাস্কবিহীন। অনেকে মাস্ক পরলেও তা ঝুলছে গলার কাছে। দক্ষিণবঙ্গ তথা রাজ্য জুড়েই নতুন সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। এই আবহে শাসকদল তৃণমূলের এ হেন সম্মেলনে করোনাবিধিকে অগ্রাহ্য করার অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।

অসিতের উদ্যোগেই চুঁচুড়ার রবীন্দ্র ভবনে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী-সহ দলের জেলা নেতৃত্ব। কর্মী-সমর্থক-দর্শকে ঠাসা রবীন্দ্র ভবনে চলে বিজয়া সম্মেলন। অভিযোগ, গোটা অনুষ্ঠানেই কোভিডবিধির পরোয়া করেননি প্রায় কেউ। অথচ সরকারি নির্দেশ, বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠান করা হলে দু’টি আসনের মাঝের আসন ছেড়ে বসতে হবে। অথচ বিজয়া সম্মেলনে সব আসনই পরিপূর্ণ ছিল। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের অভিযোগ, ‘‘যে বিধায়ক বাজারে ঘুরে মাস্ক না পরায় মানুষকে ধমক দেন, তিনিই কোভিডবিধি না মেনে বিজয়া সম্মেলন করছেন। এখন কি হাজার লোক নিয়ে বিজয় সম্মেলন করার সময়? অনুষ্ঠানে অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। কোভিড কমাতে না বাড়াতে, তৃণমূল নেতৃত্ব কী চাইছেন?’’

বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা কোভিডবিধি মেনে অনুষ্ঠান করেছি। তবে বিজয়া সম্মেলন তো, আশাতীত সমাগম হয়েছে। তা-ও আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। বহু লোক ফিরে গিয়েছে। সকলে ভিতরে ঢুকতে পারেননি। হল ভর্তি করার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা কঠোর ভাবে করোনাবিধি মেনে অনুষ্ঠান করেছি।’’

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো মিটতেই কলকাতার পাশাপাশি লাগোয় জেলাতেও হু হু করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। হুগলিতে নতুন করে বহু এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়ার কথায়, ‘‘হুগলিতে প্রতিদিন ৬০-৭০ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। যে সব এলাকায় ৪-৫ জন করেও আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই সব এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। উৎসবের মরসুমে মানুষের মধ্যে সচেতনার অভাব নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE