চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই স্থানীয় নেতাদের। তারস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছে তৃণমূলের রক্তদান শিবির! যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ক্ষমা চাইলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মাইক বাজানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুরে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই তৃণমূলের ১৮৪ নম্বর বুথের উদ্যোগে কেশবপুরে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এলাকায় বড় মঞ্চও বাঁধেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মঞ্চে টাঙানো বড় বড় ফ্লেক্স, ব্যানার। তাতে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হাওড়া জেলা সদরের যুব তৃণমূল সভাপতি কৈলাস মিশ্রের ছবি। এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়। সেই সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে মাইক!
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। অভিযোগ, তা তোয়াক্কা না-করেই সকাল থেকে মাইকে চলছে রক্তদান শিবিরের ঘোষণা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রুদ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক চালানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বিতর্ক শুরু হতেই মঞ্চ থেকে ক্ষমা চান পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জন ঘুকু। যদিও পরে তিনি বলেন, মাইক লাগানো ছিল ঠিকই, কিন্তু বাজানো হয়নি। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাইক বেজেছে। অনেকেই তা ক্যামেরাবন্দি করেছেন। জগৎবল্লভপুরের বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। প্রশাসন নির্বাক দর্শক হয়ে আছে। এলাকায় পুলিশের দেখা নেই।’’