Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩
Clash

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভাইপোর বাড়িতে হামলা! হাওড়ায় সেই কাকা এবং তাঁর শ্যালক গ্রেফতার

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইপোর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে হাওড়া নাজিরগঞ্জের লিচুবাগানের ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত কাকা এবং তাঁর শ্যালককে।

ধৃত মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু।

ধৃত মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০২
Share: Save:

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইপোর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে হাওড়া নাজিরগঞ্জের লিচুবাগানের ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত কাকা এবং তাঁর শ্যালককে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদের চিহ্নিত করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ছবি।

Advertisement

অভিযুক্ত কাকার নাম মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু। অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি দলবল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালান তাঁর ভাইপো তথা এলাকার যুব তৃণমূল নেতা আরিফ খানের উপর। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে নাজিরগঞ্জেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন আরিফের বাবা ওয়াজুল খান। তিনিও এলাকার তৃণমূল নেতা ছিলেন। আরিফের অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর কাকা দলবল নিয়ে চড়াও হন তাঁর বাড়িতে। ব্যাট এবং লাঠি দিয়ে তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ আরিফের। কাকা গুলি চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ গুড্ডুর। মারধরে জখম হয়ে কয়েক জন ভর্তি হাসপাতালে। আরিফের অভিযোগ, তাঁকে খুন করতেই দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন তাঁর কাকা।

শনিবার রাতের ওই ঘটনায় আরিফের কাকা গুড্ডু এবং তাঁর শালা কামরুজ্জামান খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুড্ডুও এক সময় তৃণমূলে ছিলেন। ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরও। পরবর্তী কালে তাঁর স্ত্রী নাসরিন খাতুনও হাওড়া পুরসভার কাউন্সিলর হন। মেয়র পারিষদও ছিলেন নাসরিন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে গুড্ডু আবার তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছিলেন বলেও নাজিরগঞ্জের তৃণমূল সূত্রে খবর। আরিফের অভিযোগ, কাকার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়েও বিবাদ চলছিল তাঁদের। সম্পত্তি এবং রাজনৈতিক কারণেই হামলা কি না তা খতিয়ে দেখছে নাজিরগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ।

রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটের আগে দল ছেড়েছিলেন মাসুদ। সম্প্রতি দলে ফেরার জন্য দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। লিখিত ভাবে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে ফেরানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। যে অপরাধ করবে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.