চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এক মহিলাকে গোঘাটের এক তৃণমূল নেতা ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছেন বলে শোরগোল পড়ল। এ সংক্রান্ত একটি অডিয়ো এবং ভিডিয়ো ক্লিপও ‘ভাইরাল’ হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও চর্চা চলছে। তবে, থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ভিডিয়ো ক্লিপে গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি বিজয় রায়ের ছবি দেখা গিয়েছে। কিন্তু ভিডিয়োর কথোপকথন অডিয়ো ক্লিপের মতো স্পষ্ট নয়। দু’টি ক্লিপেই তিনি রয়েছেন এবং কণ্ঠস্বর তাঁর বলে স্বীকার করেছেন বিজয়। তাঁর দাবি, ‘‘এগুলি প্রায় চার বছর আগের রসিকতা। আমার ব্যক্তিগত বিষয়। দলের বিষয় নয়। ভদ্রমহিলার মোবাইলটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কোনও ভাবে পেয়ে আমাদেরই দলের একটি গোষ্ঠী এ সব ছড়াচ্ছে।”
অডিয়ো ক্লিপে মহিলাকে বলতে শোনা যায়, ‘এ বার আমার একটা গতি করো’। বিজয়ের উত্তর, ‘সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কাজ করবে? সেখানে ‘গ্রুপ ডি’-তে লোক নেওয়া হচ্ছে। আয়ার কাজ করতে পারো। ৭-৮ হাজার টাকা বেতন’। এর বিনিময়েই মহিলাকে দু’দিনের জন্য দিঘা নিয়ে যাওয়া ও কিছু অশালীন প্রস্তাব দিতে শোনা যায় বিজয়কে। এমনকি, পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে তিনি মহিলার নাম সুপারিশ করবেন, এমন আশ্বাসও দিতে শোনা যায় ওই তৃণমূল নেতাকে।
বিরোধীদের দাবি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা-নেত্রীর চরিত্র-সংস্কৃতি হচ্ছে এটাই। কোনওটা প্রকাশ্যে আসছে। কোনওটা আসেনি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অডিয়োটি শুনেছি। তৃণমূলের সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ। লুটের টাকা যখন আসে, তখন এই সব রোগেই মানুষ আক্রন্ত হয়।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ মনে করছেন, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হল। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের গোঘাট ১ ব্লক সভাপতি সঞ্জিৎ পাকিরা বলেন, ‘‘আমি ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপ শুনিনি বা ভিডিয়ো দেখিনি। তবে, এ রকম কিছু হয়ে থাকলে, এটা দলের সংস্কৃতি নয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)