দুর্গাষ্টমীর রাতে হাওড়ার বনবিহারী বসু রোডে ভিড়ের মধ্যে গুলি করে খুনের ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে এখনও অধরা খুনিরা। যদিওতদন্তকারীদের দাবি, দুই দুষ্কৃতী যে মোটরবাইকে এসে গুলি চালিয়ে বিহারের গোপালগঞ্জের জমি-বাড়ি মাফিয়া সুরেশ যাদবকে (৫৬) খুন করেছে, সেটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এমনকি, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ নিশ্চিত, এর পিছনে রয়েছে গোপালগঞ্জের মাফিয়া গোষ্ঠীর ‘গ্যাং-ওয়ার’। দু’জন অভিযুক্ত বিহার থেকে আসা শার্প শুটার এবং তারা আধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুন করে গোপালগঞ্জেইফিরে গিয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে ঘটনার পরের দিন হাওড়া গোয়েন্দা দফতরের দু’টি দলগোপালগঞ্জে গেলেও স্থানীয়দের অসহযোগিতায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের ধরতেই পারেনি বলে সূত্রের দাবি।
অষ্টমীর রাতে হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে, জি টি রোড লাগোয়া বনবিহারী বসু রোডে গুলি চালিয়ে খুনের এই ঘটনা হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের ব্যর্থতাকেই বেআব্রু করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ঘটনারপরেই হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুষ্কৃতীরা কোনও পথে পালিয়েছে, তা দেখে তদন্ত শুরু হয়।
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, সিসি ক্যামেরারফুটেজ দেখেই মোটরবাইকটি শিবপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পুজোর ভিড়ে কোনও অ্যাপনির্ভর গাড়িতে করে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। পরেগোপালগঞ্জে ফিরে যায় তারা। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তি কুখ্যাত দুষ্কৃতী। জমি-বাড়ির মাফিয়া, অগাধ সম্পত্তির মালিক।গোপালগঞ্জে তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচটি খুনের মামলা রয়েছে।ডাকাতি, রাহাজানি, অস্ত্র আইনে মামলা-সহ নানা দুষ্কৃতীমূলক ঘটনায় যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে ২৮টি। তবে এলাকায় দরিদ্রদের কাছেতিনি ‘মসিহা’।’’ তবে এক সময়ে বিরোধী গোষ্ঠী এলাকা দখলকরতে তাঁকে নিকেশ করার ছক কষে। চার বছর আগে বাড়িতে ঢুকে চার রাউন্ড গুলি চালালেও সুরেশ বেঁচে যান।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘খুনিরা ধরা পড়বেই। আমাদের বিশেষ বাহিনী বিহারে রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও বিহার এসটিএফ তল্লাশি চালাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ গ্রামে তল্লাশিতে গেলেই দুষ্কৃতীদের কাছে খবর চলে যাচ্ছে। তবে আমরা শীঘ্রই সফল হব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)