E-Paper

আন্তর্জাতিক ও রাজ্য স্তরে সোনা-রুপো জয় দুই কন্যার

আঠারো বছরের অঞ্জুর অভাবের কাহিনীও একই রকম। বাবা কমল ও মা অন্নপূর্ণা নার্সারিতে শ্রমিকের কাজ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৩
স্বর্ণপদক হাতে অঞ্জু বর্মণ (বাঁ দিকে) এবং দেবলীনা সাইন (ডান দিকে)।

স্বর্ণপদক হাতে অঞ্জু বর্মণ (বাঁ দিকে) এবং দেবলীনা সাইন (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে দু’টি করে পদক জিতলেন বলাগড়ের দুই কন্যা। তাদের স্বপ্ন, দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করা। এই জয়ে উৎফুল্ল পরিজনেরা।

কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ২৯-৩০ জুলাই সপ্তম আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে ফাইট বিভাগে রুপো ও কাতা বিভাগে তামার পদক জেতে বলাগড়ের কুন্তীঘাটের দেবলীনা সাইন। ফাইটে মালয়েশিয়ার কাছে হেরে যায় সে। কাতায় মালদ্বীপের কাছে। তেরো বছরের দেবলীনার অলিম্পিকের স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় মূল বাধা, পরিবারে অভাব। দেবলীনার পৈতৃক বাড়ি ওড়িশায়। আর্থিক অনটনের কারণে সে মামার বাড়িতে মানুষ। বাবা বিজয়কুমার সাইন নেপালে নলকূপের পাইপ লাইনের কাজ করেন। তাতেই কোনও ভাবে সংসার চলে।

বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ১৩-১৬ অগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪×১০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক ও ২০০ মিটার দৌড়ে তামার পদক জেতেন বলাগড়ের রুকেশপুরের মেয়ে অঞ্জু বর্মণ। আঠারো বছরের অঞ্জুর অভাবের কাহিনীও একই রকম। বাবা কমল ও মা অন্নপূর্ণা নার্সারিতে শ্রমিকের কাজ করেন।

দেবলীনা, অঞ্জুদের কথায়, “সংসার চালিয়ে খেলার সরঞ্জাম কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য পেলে আরও অনেক দূর এগোতে পারব।” হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়া বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ জানায়নি। জানালে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে জানাব, আমাদের যতটুকু সাহায্য করার করব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Netaji Indoor Stadium Balagarh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy