Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Trees

পঞ্চায়েতের গাছ ‘চুরি’ রুখলেন আরান্ডির বাসিন্দারা

এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই রাস্তার ধারে এখানে গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছিল।

গাছ কাটায় প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের (বাঁ দিকে)। পড়ে রয়েছে গাছ কাটার করাত (ডান দিকে)।

গাছ কাটায় প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের (বাঁ দিকে)। পড়ে রয়েছে গাছ কাটার করাত (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ০৬:০৯
Share: Save:

গাছ কাটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে করাত-কুড়ুল ফেলে পালাল ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা। একটি করাত এবং দু’টি কুড়ুল উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তাঁদের তরফে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের ধামসায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

গত কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকা থেকে গাছ ‘চুরি’র অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধানের আশ্বাস দিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরাও। ওই দফতরের আরামবাগ চাঁদুরের রেঞ্জার রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওখানে গাছ কাটার কোনও অনুমতি আমাদের থেকে নেওয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের সুনীল সামন্ত বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষ এভাবে রুখে দাঁড়ালে সবুজ বাঁচবে।’’

এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই রাস্তার ধারে এখানে গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের মদতেই ওই কাজ হচ্ছিল। এ ভাবে অন্তত ১২টি গাছ কাটা হয়েছে। স্থানীয় এক যুবকের কথায়, ‘‘গাছগুলি পঞ্চায়েত বসিয়েছিল। অথচ সেগুলি কেটে নিয়ে গেলেও তারা নির্বিকার। বাধ্য হয়ে আমরাই প্রতিবাদ করলাম।’’ স্থানীয়দের দাবি, কিছু কাটা গাছ কাছেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। যদিও তাঁর দাবি, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর বাড়িতে শুধু রাখা হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, বৈধ ভাবেই গাছ কাটা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মজুরি নিয়ে গাছ কাটেন, এমন দু’জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হুগলি (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কে বা কারা গাছ কাটার পিছনে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। গাছ কাটার যন্ত্রপাতি এবং দু’টি কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ওই গাছগুলি পঞ্চায়েতেরই। আমরা পুলিশ এবং বন দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। গাছ কাটার মতো বেআইনি কাজের সঙ্গে যে বা যারাই যুক্ত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trees
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE