জলমগ্ন কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরফা ক্রসিং। —নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হল হাওড়াতেও। রবিবার রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়া পুরসভা এলাকার বেশ কিছু নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, ঘুসুড়ি এবং লিলুয়ার নিচু এলাকাগুলিতে কোথাও গোড়ালিসমান, আবার কোথাও তার বেশি জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১১টি পাম্পের মাধ্যমে জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাতটি মোবাইল বা ভ্রাম্যমান পাম্প চালু করা হবে, যাতে নিচু এলাকা থেকে দ্রুত জল নামানো যায়।
পুরসভা সূত্রে খবর, ঝড়ের দাপটে মধ্য হাওড়ার হালদারপাড়া সেকেন্ড বাই লেন-সহ কয়েকটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে। পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ওই গাছ কেটে ফেলার কাজ শুরু করেছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার খবর নেই।
হাওড়া স্টেশনের পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রের খবর, মোটের উপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার হাওড়া-দিঘা আপ এবং ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে হাওড়া এবং কলকাতার মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy