—নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত বাসে আচমকাই প্রচণ্ড শব্দ। হতচকিত যাত্রীরা কিছু বোঝার আগেই দেখেন, ভেঙে গিয়েছে বাসের জানলা। কী ভাবে বাসের জানলা ভাঙল, তা বোঝার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। তবে কি কেউ গুলি চালাল? না বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারল? এ নিয়ে আতঙ্কিত যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় জল্পনা। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার বালি থানা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বাসটি পরীক্ষা করবে ফরেন্সিক দলও। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে রাজচন্দ্রপুর থেকে সল্টলেক যাচ্ছিল এস ২৩ রুটের সিইএসটিসি বাসটি। ঘটনার সময় বাসটিতে ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বালি থানার অন্তর্গত লালবাড়ির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় হ়ঠাৎই বাসের জানলায় কোনও কিছু লেগে তা সশব্দে ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাস থামিয়ে দেন চালক বিশ্বগোপাল ঘোষ। তবে গোটা ঘটনায় হতবাক চালক-সহ যাত্রীরা
ইট-পাথরের আঘাতে না গুলি— কী ভাবে ওই বাসের জানলা ভেঙেছে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউ। যদিও বিশ্বগোপালের দাবি, ‘‘বাসে গুলিই লেগেছে। ইট বা পাথর ছুড়লে এ ভাবে বাসের জানলা ভাঙত না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাসের একদিকের জানলা ভেঙে তো গিয়েছেই। সেই সঙ্গে অন্য জানলাও ফুঁড়ে তা ভেঙে পড়েছে।’’
মঙ্গলবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও বাসের জানলার কাচে পাথর ছোড়া হয়েছে নাকি গুলি চালানো হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। তবে বাসের এক যাত্রী রঞ্জিৎ কর্মকার বলেন, ‘‘আচমকাই প্রচণ্ড শব্দ হয়। দেখলাম, বাসের জানলার কাচ ভেঙে পড়েছে। একদিকের জানলা ভেঙে অন্যদিকের জানলাও ভেঙে যায়। আমার মনে হয়, গুলিই চলেছে।’’
বালি থানার সূত্রে খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষার জন্য হাও়ড়ার শিবপুরে পুলিশ লাইনে বাসটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ওই বাসে গুলি চলেছে না তাতে পাথর ছোড়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy