ধৃত বাপি দাস। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
কোন্নগর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাপি দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে কোন্নগর বাজার এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়।
প্রথমে বাড়ি কেনার সময়ে তোলা না দেওয়া এবং পরে ওই বাড়ি প্রোমোটারের স্বার্থে বিক্রি না করায় মঙ্গলবার কোন্নগরের বাসিন্দা, মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষের ঘরে তাণ্ডব ও তাঁর স্ত্রী-মেয়েকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বাপি ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনার চার দিন পরে গ্রেফতার করা হল বাপিকে। ধৃতকে এ দিনই শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ৬ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, বাপি মাছ ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৫৪বি (শ্লীলতাহানি), ৩২৫ (মারধর) এবং ৩৪১ (চলাফেরায় বাধাদান) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যথারীতি এ দিন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বাপি। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সে দাবি করে, ‘‘ওই বাড়ির মা-মেয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছেন। আমি কোনও দোষ করিনি। বিনা অপরাধে গ্রেফতার হতে হল।’’
তারাশঙ্করবাবুর স্ত্রী-মেয়ের অভিযোগ, বাপি আগে সিপিএম করত। এখন তৃণমূল করে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, বাপি তাঁদের দলের কেউ নয়। বাপি আগে নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করলেও এ দিন এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেননি। বাপি ধরা পড়ায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বাপিকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু জেলায় জেলায় আরও অনেক বাপি দাস আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথার সঙ্গে কাজে মিল থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy