উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খানাকুলে অশান্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই বুধবার রাতে খানাকুলের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) তথাগত বসুর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী চারটি দলে ভাগ হয়ে ৫টি পিস্তল, একটি ইম্প্রোভাইজ় বন্দুক, ৭২টি বোমা উদ্ধার করে।
চলতি মাসের ৬ অগস্ট আরামবাগের হরিণখোলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে একজন খুন হন। ১৫ অগস্ট খানাকুলের সাজুরঘাটে জাতীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে এক বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, দলীয় কার্যালয়ে আগুন, মারধরের অভিযোগ ওঠে।
প্রশাসন সূত্রে খবর এই নিয়েই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে তথাগত বসুর কাছে প্রশ্ন তোলেন “হুগলি জেলায় এত গোলমাল হচ্ছে কেন? খানাকুলে এত গোলমাল হচ্ছে কেন?” শুক্রবার সকালে পুলিশ সুপার খানাকুল থানায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বলেন, “আমরা খানাকুল থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার-সহ সম্প্রতি ঘটা বিভিন্ন মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের একজনের কাছে একটি ৭ এমএম পিস্তল মিলেছে। বাকি অস্ত্র স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে।”
নদী-নালায় ঘেরা খানাকুল থানা এলাকার ভৌগলিক কিছু প্রতিবন্ধকতার প্রসঙ্গ তুলে পুলিশ সুপার বলেন, “রাজনৈতিক অশান্তিপ্রবণ বিভিন্ন জায়গার আউটপোস্ট এবং ক্যাম্পগুলিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত টহলদারি, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালাতে এসডিপিও (আরামবাগ) এবং সিআইকে নির্দেশ দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy