Advertisement
১৭ জুন ২০২৪

তৃণমূলের হাতে ‘প্রহৃত’ বিজেপি কর্মীই গ্রেফতার

যিনি মার খেলেন, পুলিশ ধরল তাঁকেই। আর যারা পেটাল বলে অভিযোগ, তারা রইল বাইরেই। শিলিগুড়ির পরে আরামবাগেও প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। বুধবার আরামবাগের সুজলপুরে নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তপন মানিয়ান নামে ওই কর্মীর স্ত্রী ও মেয়েও নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৪
Share: Save:

যিনি মার খেলেন, পুলিশ ধরল তাঁকেই। আর যারা পেটাল বলে অভিযোগ, তারা রইল বাইরেই।

শিলিগুড়ির পরে আরামবাগেও প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। বুধবার আরামবাগের সুজলপুরে নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তপন মানিয়ান নামে ওই কর্মীর স্ত্রী ও মেয়েও নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ঘরে লুঠপাট ও ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে তৃণমূলের লোকজন।

জখম তপনবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভতি। বিকেলে বিজেপি-র তরফে তৃণমূলের নেতা মন্টু সিদ্দিকি-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টে আহত তপনবাবু ও তাঁর এক আত্মীয় বাপন পালকে ধরেছে। তপনবাবুর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। শিলিগুড়িতে একটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধনে বিক্ষোভের মুখে পড়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব যাঁকে চড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁকেই ধরেছে পুলিশ। সুজলপুরের ঘটনাতেও সেই ঘটনারই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।

আরামবাগে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ কর্মসূচিতে নেমেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, তপনবাবু ও তাঁর আত্মীয় বেরোতেই জনা পাঁচ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। তবু তাঁরা কর্মসূচিতে যেতে চাইলে তপনবাবুর বাড়িতে লুঠ ও দোকানে ভাঙচুর চলে। তপনবাবুর মেয়ের অভিযোগ, “আমাকে আর মাকেও মারে ওরা। আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।” বিজেপি নেতা অসিত কুণ্ডুু বলেন, “আরামবাগে তৃণমূলের অস্তিত্ব বিপন্ন। আমাদের ছেলেরা সংযত আছে। তবে ওদের (তৃণমূলকে) জানাই, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা বেশি না নেওয়াই ভাল।”

তৃণমূলের দাবি, তপনবাবুদের গ্রেফতার করাতেই ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করেছে বিজেপি। আরামবাগের পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দীর দাবি, “বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে। চমকাইতলা থেকে সুজলপুরে আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েই পুলিশের হাতে ওই দু’জনকে তুলে দিই। কাউকে মারধর বা কোনও রকম হুমকি দেওয়া হয়নি।” পুলিশ জানায়, তপনবাবু ও তাঁর আত্মীয়ের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arambag bjp tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE