শনিবার সকালে হঠাৎই চাকদহ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেবাশিস ও তাঁর মা নীহারবালা ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। নীহারবালা কোনও ক্রমে বেঁচে গেলেও, দেবাশিস ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান।
প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি নদিয়ার চাকদহের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পারবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং মাকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে মরতে যান। যুবকের মৃত্যু হলেও, তাঁর মা বেঁচে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম দেবাশিস রায়। তাঁর স্ত্রীর নাম বর্ণালী ঘোষ এবং মায়ের নাম নীহারবালা রায়।
শনিবার সকালে হঠাৎই চাকদহ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেবাশিস ও তাঁর মা নীহারবালা ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। নীহারবালা কোনও ক্রমে বেঁচে গেলেও, দেবাশিস ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান। এই ঘটনা জানাজানির হওয়ার পর খোঁজ চলে বর্ণালীর। ফোনে তাঁকে না পেয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে আসেন বর্ণালীর পরিবারের লোকেরা। তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মেয়ে। শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ চাকদহ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশিসের সঙ্গে বিয়ে হয় চাকদহের বর্ণালীর। কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে গ্রুপ-ডি পদে কাজ করতেন দেবাশিস। আর তাঁর স্ত্রী বর্ণালী কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, বর্ণালী শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন না। সেই দাবি মেনে নিতে পারেননি স্বামী দেবাশিস। ফলে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। অবশেষে মাসখানেক আগে চাকদহের একটি বাড়িতে মা ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ওঠেন দেবাশিস। তার পরই এই ঘটনা সামনে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy