Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Crime

অস্ত্র কারখানার হদিস কুলটিতে

পুলিশ সূত্রের দাবি, ঝাড়খণ্ডের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩০০-৩৫০টি ৭ এমএম দেশি পিস্তলের অংশ এবং কিছু যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে

ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। ছবি: পাপন চৌধুরী

ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। ছবি: পাপন চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৪:১৭
Share: Save:

অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের নুরনগর এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালায় কুলটি থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

পুলিশ সূত্রের দাবি, ঝাড়খণ্ডের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩০০-৩৫০টি ৭ এমএম দেশি পিস্তলের অংশ এবং কিছু যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতেরা হল, মহম্মদ ইসার আহমেদ, মহম্মদ আরিফ, সুরজকুমার স, উমেশ কুমার এবং অরুণকুমার বর্মা। ধৃতদের সকলের বাড়ি ধানবাদে।

পুলিশ জানায়, এ দিন অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রচুর পরিমাণে দেশি উন্নত মানের অস্ত্র মজুত রয়েছে। রাত ৮টা নাগাদ তদন্তে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস। ডিসিপি জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নুরনগর এলাকার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বহিরাগত কয়েকজন একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। ওই বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, বহিরাগতেরা বাড়ির মালিককে জানিয়েছিল, তারা গাড়ির সরঞ্জাম তৈরির একটি কারখানা করবে। ভাড়া বাবদ তারা পাঁচ হাজার টাকা দেবে। সেখানে কিছু যন্ত্রাংশও বসায়।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এ-ও জেনেছে, অভিযুক্তেরা প্রথমে তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি ঘর পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া নেওয়ার কিছু দিন পরে, বাড়ির বাগানের বেশ কিছুটা ফাঁকা জায়গায় অভিযুক্তেরা নিজেদের টাকায় কারখানা তৈরি করে। তার বিনিময়ে চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ার বদলে তারা তিন হাজার টাকা করে দিচ্ছিল।

এই ঘটনার পিছনে আর কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Ammunition Factory Kulti
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE