ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের মতো দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া দলের জেলা সংগঠনের রদবদলে এ বারে গুরুত্ব পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। সেই দলে আছেন কোচবিহারের অভিজিৎ দে ভৌমিক, হুগলির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইয়েরা। জেলার দায়িত্বে এলেন সৌমেন মহাপাত্রের মতো মন্ত্রী। চর্চা শুরু হয়েছে, তবে কি বুধবার মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁর মন্ত্রী পদ যাচ্ছে? জেলা সভাপতি পদে আর এক ‘চমক’ বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। খাতায়কলমে এখনও তিনি বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রানি রাসমণির সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁকে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হল।
গরু, কয়লা পাচার এবং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের আতসকাচের তলায় আছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবু তিনি রয়ে গেলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতির পদে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে রদবদলে নতুন মুখ এসেছে। তাঁদের অনেকের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব যথেষ্ট বলেই দলীয় সূত্রে দাবি। সেই দলে আছেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই। তাঁকে হুগলি-শ্রীরামপুর জেলার সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল। আরও আছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক, কোচবিহারে পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে যাঁকে জেলা সভাপতি করা হল। দক্ষিণ দিনাজপুরে সভাপতি হলেন অভিষেক অনুগামী মৃণাল সরকার। মেদিনীপুরে আর এক অভিষেক-অনুগামী সুজয় হাজরাকে আগেই জেলা সভাপতি করা হয়। ঘাটালেও আশিস হুতাইতই রইলেন।
ঝাড়গ্রামে অবশ্য পুরনো মুখ দুলাল মুর্মুকে আনা হল জেলা সভাপতি পদে। চেয়ারপার্সনের পদে বহাল রইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বিরবাহা সরেন টুডু। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে রাজ্যের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে সরিয়ে আনা হল মানিক মিত্রকে। রানাঘাটে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষের বদলে দায়িত্বে এলেন দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy