গত বছর গ্রন্থাগারগুলির কর্মী সঙ্কট কাটিয়ে সচল করে তুলতে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারগুলিকে সক্রিয় করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি গ্রন্থাগার দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগিয়ে গ্রন্থাগারগুলি চালাতে হবে। কর্মীর অভাবে গ্রন্থাগার চালাতে সমস্যার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। গ্রন্থাগার আইন মেনেই এই স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার সুযোগ আছে। গত বছর গ্রন্থাগারগুলির কর্মী সঙ্কট কাটিয়ে সচল করে তুলতে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন। এই পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, পুনর্নিয়োগের বদলে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করে কাজ করা যেতে পারে।
গ্রন্থাগার দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য, শূন্যপদগুলিতে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করা। গত বছর অর্থ দফতর বিভিন্ন গ্রন্থাগারে ৭০০-র বেশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়। জেলাভিত্তিক কমিটি গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া তরান্বিত করার উদ্যোগ নেয় গ্রন্থাগার দফতর। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা থাকায় নিয়োগ সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে বলে জানানো হয়।
রাজ্যে বিভিন্ন স্তরে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। আর তাতে গ্রন্থাগারিক কম থাকায় এখন বহু জায়গায় একজনকে একাধিক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেক সরকারি গ্রন্থাগার নিয়মিত খোলাও সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি গ্রন্থাগার নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অভিযোগ উঠছে, গ্রন্থাগার নিয়মিত না খোলায় পাঠকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। চাকরি ও উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গ্রন্থাগার ব্যবহার করেন অনেকে। তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এমন অভিযোগের মুখে পড়ে আপাতত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে সরকারি গ্রন্থাগারগুলিকে সক্রিয় করতে চাইছে গ্রন্থাগার দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy