Advertisement
E-Paper

তৃণমূলে কোন্দল, মার হাসপাতালে

শাসক দলের কাউন্সিলারের স্বামী তিনি। তাই হাসপাতালে রোগী দেখার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁকে ঢুকতে দিতে হবে। তা-ও মহিলা ওয়ার্ডে। শুক্রবার রাতে এমন দাবি শুনে আপত্তি জানান খড়দহের বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক নিরাপত্তাকর্মী। নিয়ম মানতে বলার ‘পুরস্কার’ হিসেবে মার খেতে হয়েছে তাঁকে। মার খেয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন নিরপত্তাকর্মী পরেশ শিউলি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৫ ০৩:১৩

শাসক দলের কাউন্সিলারের স্বামী তিনি। তাই হাসপাতালে রোগী দেখার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁকে ঢুকতে দিতে হবে। তা-ও মহিলা ওয়ার্ডে। শুক্রবার রাতে এমন দাবি শুনে আপত্তি জানান খড়দহের বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক নিরাপত্তাকর্মী। নিয়ম মানতে বলার ‘পুরস্কার’ হিসেবে মার খেতে হয়েছে তাঁকে। মার খেয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন নিরপত্তাকর্মী পরেশ শিউলি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।

পরেশবাবুর অভিযোগ, স্থানীয় পুরসভার দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরাই তাঁকে পিটিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কাউন্সিলরদের উস্কানিতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে মারা হল। আর সবাই দাঁড়িয়ে মজা দেখল।’’ ওই দুই কাউন্সিলর অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুরো ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খড়দহের তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, এটা দলের ভিতরের কোন্দল। ওই নিরাপত্তাকর্মী অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলরের বিরোধী গোষ্ঠীর হওয়ায় বিষয়টি এত দূর গড়াল। পরেশবাবুর পরিবার খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে এক রোগীকে দেখতে যান খড়দহের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী পাল ও তাঁর স্বামী প্রাণেশ পাল। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাকর্মী পরেশ শিউলি তাঁদের বাধা দেন। মৌসুমীদেবী নিজের পরিচয় দেওয়ার পরে পরেশবাবু শুধুমাত্র তাঁকেই ভিতরে যেতে বলেন। কিন্তু কেন মৌসুমীদেবীর স্বামীও যেতে পারবেন না, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা।

মৌসুমীদেবীর অভিযোগ, ‘‘আমার স্বামীকে মারধর ও গালিগালাজ করেছেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। এখন গল্প সাজাচ্ছেন।’’ পরেশবাবুর দাবি, ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই ডিউটি শেষ হয়ে যায় তাঁর। তিনি বাড়ি যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় ফোন করে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। হাসপাতালে পৌঁছতেই পরেশবাবুর উপরে দুই কাউন্সিলরের অনুগামীরা চড়াও হয়ে মারধর মারধর শুরু করে। যে কাউন্সিলর ফোন করে পরেশবাবুকে হাসপাতালে ফিরতে বলেছিলেন সেই সুপ্রিয়বাবু পরে বলেছেন, ‘‘এত কিছু আমার জানা ছিল না। ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে কয়েক জন চড়াও হয়। সেটা দেখে আমিই ওঁকে উদ্ধার করি।’’

trinamool tmc hospital police khardah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy