নিজে অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার তো করেছেনই। আরও অনেককে ভুয়ো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন ইউনানি চিকিৎসক নরেন পাণ্ডে।
এদিন মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক নরেন পান্ডে এবং অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সম্পাদক রমেশ বৈদ্যকে বিধাননগর আদালতে পেশ করে সিআইডি। বিচারক দু’জনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গোয়েন্দাদের দাবি, রমেশ বৈদ্যের একশোটির বেশি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। বাজারে তাঁর দেনা এক কোটি টাকার বেশি। নরেন অন্য এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ত্বক বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্র্যাকটিস চালাচ্ছিলেন। এ দিন আদালতে সিআইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নরেন ইউনানি কাউন্সিলের সহসভাপতি থাকাকালীন অনেককে ভুয়ো চিকিৎসকের ডিগ্রিও পাইয়ে দিয়েছেন। ধৃতের এন্টালির অফিস থেকে সেই সংক্রান্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিআইডির তরফে দাবি। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আমরা কোর্টে একটি নথি জমা দিয়েছি। যাতে দেখা যাচ্ছে ১৯৮৫ সালের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নতুন করে এক জনকে দেওয়ার কথা ছিল নরেনের।’’
আদালতে নরেনের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহার দাবি, তাঁর মক্কেল কোনও নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর কাছ থেকে যা উদ্ধার হয়েছে, তা ইউনানি কাউন্সিলের নথি। তখন নরেনের বিরুদ্ধে এন্টালি থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণার অন্য একটি মামলার প্রতি আদালতের দৃষ্টি আর্কষণ করেন তদন্তকারীরা।
সিআইডির জালে ইতিমধ্যে ধরা পড়েছেন তিন সরকারি ভুয়ো চিকিৎসক। গোয়েন্দাদের অনুমান, জাল ডিগ্রি নিয়ে আরও কিছু ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করছেন। তাদের খোঁজ পেতে সিআইডি এ বার ন্যাশনাল হেলথ মিশন বা এনএইচএমের দ্বারস্থ হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সরকারি হাসপাতালে যারা চিকিৎসক রয়েছেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসন্ধান করে সিআইডিকে জানাতে বলা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির চিকিৎসকদেরও জীবনপঞ্জি খতিয়ে দেখার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বলেছেন গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রের খবর, কাউন্সিল রিপোর্ট দিলেই তাঁরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কাউন্সিল সূত্রের খবর, তারা ইতিমধ্যেই ১৭ জন সন্দেহভাজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy