Advertisement
E-Paper

নন্দীগ্রামে গুলির পিছনে কি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব!

তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবারই গ্রেফতার হয়েছিল দুই ব্যক্তি। খোদ পরিবহণ মন্ত্রী নন্দীগ্রামের ওই ঘটনায় রাজনৈতির যোগ না থাকার কথা বললেও নন্দীগ্রামের ওই ঘটনায় এখন উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। কারণ, বুধবারই ধৃতের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী এবং গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার ছায়াসঙ্গীও ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবারই গ্রেফতার হয়েছিল দুই ব্যক্তি। খোদ পরিবহণ মন্ত্রী নন্দীগ্রামের ওই ঘটনায় রাজনৈতির যোগ না থাকার কথা বললেও নন্দীগ্রামের ওই ঘটনায় এখন উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। কারণ, বুধবারই ধৃতের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী এবং গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার ছায়াসঙ্গীও ছিলেন।

সম্প্রতি দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতা শেখ গোলাম রুকুমুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনায় শেখ ইলিয়াস এবং শেখ মজনু নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বুধবার শেখ ইলিয়াসের স্ত্রী আয়েষা বিবি বলেন, ‘‘বাবা ও ছেলে দু’জন সব সময় রুকুমুদ্দিনের ঘুরত। তৃণমূলের ওই নেতার ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকত।’’ বাড়িতে যে তৃণমূলের পতাকা রয়েছে, তা-ও দেখান আয়েষা বিবি।

গুলি চলার ঘটনার পরে স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ওই এলাকায় গিয়ে জানিয়েছিলেন, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। কিন্তু এ দিন আয়েষার ওই দাবির পরে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব সামনে চলে এসেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অনেকেই জানিয়েছেন, ধৃতেরা তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ছিল। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধৃতেরা নির্দলকে সমর্থন করেছিল। তাই তাদের ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল সভা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে অনেক দূরের ঘটনা। তাই ওরা কোনও রাজনীতি করত কি না, তা বলতে পারব না।’’

কিন্তু ঠিক কী কারণে ওই তৃণমূল নেতাকে গুলি করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের। তবে স্থানীয় সূত্রে উঠে এসেছে একাধিক তত্ত্ব। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, রুকুমুদ্দিন এলাকায় ‘ত্রাস’ হয়ে উঠেছিলেন। আবার অনেকের দাবি, তিনি তাঁর মেয়েকে বয়লা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করতে চেয়েছিলেন। তাতেও দলে আপত্তি ছিল বলে সূত্রের খবর।

এ দিকে, এ দিন ধৃত বাবা-ছেলেকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। ইলিয়াসের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত এবং মজনুর ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় হলদিয়া মহকুমা আদালত। ঘটনার পর চার দিন কেটে গিয়েছে।

Nandigram TMC Group Clash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy