E-Paper

যাদবপুর উজ্জ্বল, মান সমীক্ষায় নামল কলকাতা

উচ্চশিক্ষায় মান নির্ধারক এনআইআরএফ বা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৩’-এর বিচারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর এ বারেও আছে চতুর্থ স্থানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ০৮:১৯
Jadavpur University

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।

সারা দেশের সামগ্রিক বিচারে বঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মান ও স্থান ধরে রাখতে পারলেও কলকাতার ছবি ম্লান। উচ্চশিক্ষায় মান নির্ধারক এনআইআরএফ বা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৩’-এর বিচারে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর এ বারেও আছে চতুর্থ স্থানে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে কলকাতা অষ্টম থেকে দ্বাদশে নেমে গিয়েছে। সার্বিক ভাবে পঞ্চদশ স্থান থেকে নেমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে তেইশে। সার্বিক ভাবে ত্রয়োদশ স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্সি এ বারেও প্রথম একশোয় নেই। গত বার গবেষণা ক্ষেত্রে জায়গা না-পেলেও কলকাতা এ বার ওই বিভাগে ৩৫তম স্থান পেয়েছে, যাদবপুরের স্থান ১৯।

এই সমীক্ষায় সার্বিক ভাবে প্রথম একশোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে প্রথম একশোয় রয়েছে বঙ্গের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ বিভাগে প্রথম একশোয় ঠাঁই পেয়েছে রাজ্যের আটটি কলেজ।

সার্বিক ভাবে দেশের কলেজগুলির মধ্যে কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ রয়েছে পঞ্চম স্থানে। রহড়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী কলেজের স্থান অষ্টম। পঞ্চদশ স্থানে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, বেলুড়। রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ, নরেন্দ্রপুর ১৯তম স্থানে। কলেজের মধ্যে প্রথম একশোয় জায়গা পেয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজও। সার্বিক ভাবে এ বারেও দেশের মধ্যে প্রথম আইআইটি মাদ্রাজ। আইআইটি খড়্গপুর সার্বিক ভাবে সপ্তম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ষষ্ঠ। খড়্গপুর আইআইটি-র রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, ‘‘সব সময় তো সমান হয় না। কারণ, নানা ধরনের মাপকাঠিতে এই বিচার হয়। কেউ হয়তো আমাদের থেকে একটু এগিয়ে গিয়েছে। আবার আমরা হয়তো গত বারের তুলনায় কোনও বিভাগে এগিয়েছি।’’

সার্বিক ভাবে গত বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ছিল দ্বাদশ, এ বার ত্রয়োদশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, ‘‘যাদবপুরের আগে যে-সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলি সবই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যাদবপুর তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে।’’ তবে যাদবপুরের অর্থসঙ্কটে প্রাক্তনীদের এবং রাজ্য সরকারের সাহায্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরবস্থা কেন, সেই প্রশ্ন জোরদার হয়েছে শিক্ষা শিবির-সহ বিভিন্ন মহলে। কলকাতার অবনমনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির দিকেই আঙুল তুলেছেন অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ কাল স্থায়ী উপাচার্য নেই। বহু শিক্ষকপদ ফাঁকা। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সমীক্ষার ফলাফলে। গুণমান বাড়াতে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এখন আমাদের একজোট হওয়ার সময়।’’

সমীক্ষায় পঞ্চম স্থানে থাকা সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের অধ্যক্ষ ডমিনিক স্যাভিও বলেন, ‘‘এই সাফল্য আমাদের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তনীদের জন্য সম্ভব হয়েছে। আরও উন্নতির চেষ্টা করব আমরা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jadavpur University University of Calcutta Presidency University

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy