রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে সায়ক দাস আসার পরেই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার পর থেকে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাই পেতেন জগন্নাথ।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ছবি সংগৃহীত।
১৫ দিন আগেই তাঁকে না জানিয়ে কেন্দ্র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তাও তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি। আচমকা নিরাপত্তা হারিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, “আমার আর কেউ না থাক, ঈশ্বর রয়েছেন।”
সাংসদ হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন জগন্নাথ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দু’জন রাজ্য পুলিশের সশস্ত্রকর্মীও সাংসদের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন।
সূত্রের খবর, রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে সায়ক দাস আসার পরেই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার পর থেকে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাই পেতেন জগন্নাথ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত জগন্নাথ। কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। জগন্নাথ বলছেন, “দু’বার আমার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। বারাসতের হেলা বটতলার কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। শান্তিপুর ও গয়েশপুরে বিক্ষোভ দেখানোর নামে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করেছে।”
এত সব কিছুর পরেও কেন হঠাৎ কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারই আচমকা তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল, বুঝতে পারছেন না জগন্নাথ। অভিমানী সাংসদ বলছেন, “কী বলব, বলুন তো! কেউ না থাক ঈশ্বর তো আছেন। আমার নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁর উপরেই ছেড়ে দিয়েছি।”
দলের পক্ষ থেকে সংসদে একাধিক বার তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে জগন্নাথকে। নিজের নিরাপত্তার জন্য দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ স্তরেও দরবার করেছেন তিনি। জগন্নাথের দাবি, এর পরেও তাঁর নিরাপত্তার প্রশ্নে উদাসীন থেকেছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
জগন্নাথের নিরাপত্তা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর বলছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কোনও নাগরিকের বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সবাই এখানে নিরাপদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy