হেলিপ্যাড সরানো হয়েছিল পাশের নদিয়া জেলায়। কী কারণে, তার নানান ব্যাখ্যা এবং যুক্তি রয়েছে পুলিশ এবং তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। পথে পুলিশও ছিল প্রচুর।
কিন্তু এত কিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি আটকানো গেল না। কল্যাণীর রথতলায় হেলিপ্যাড থেকে কাঁচরাপাড়ার সভাস্থলে আসা এবং যাওয়ার পথে এক দল যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিলেন। তবে আগের মতো এ দিন গাড়ি থেকে নামেননি মমতা। পুলিশও তাড়া করেনি ওই যুবকদের।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির দিক থেকে ‘প্ররোচনা’র চেষ্টা ছিল কাঁচরাপাড়ার পাড়ায় পাড়ায়। বড় রাস্তা, গলি পথের মোড়ে মোড়ে— বিজেপি নেতাদের ছবি-সহ ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা ব্যানার-পোস্টার ভর্তি ছিল। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে তৃণমূলের কর্মিসভার মঞ্চ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে অশান্ত করে তোলা নিয়ে। মঞ্চ থেকে সরাসরিই দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। কর্মীদের ভয় না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আগের মতো লড়তে বলেছেন। তিনি যে আগের মতো দলের কর্মীদের পাশেই রয়েছেন, সেই বার্তাও দিয়েছেন।