বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বার বারই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে নালিশও জানিয়েছেন তিনি। আবারও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করা এবং ছাত্রদের অযথা আইনি বিপাকে জড়ানোর অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি।
চিঠিতে জহর উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বভারতীর তরফে ৯১টি মামলা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। জহরের দাবি, এ সব মামলার জেরে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেক মধ্যবিত্ত পড়ুয়ার পক্ষে মামলার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যেখানে উপাচার্যের ভূমিকা হওয়া উচিত সদর্থক, সেখানে দেখা যাচ্ছে হাই কোর্টের রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে গেলে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নও থমকে যাচ্ছে, অভিযোগ জহরের।
সাংসদ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, সাধারণ মানুষের অর্থে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনি জগতের এক শ্রেণির মানুষই কেবলমাত্র উপকৃত হয়েছেন। তবে অধ্যাপকদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকার জন্য চিঠিতে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ। যদিও এ নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)