পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জয়নগর কাণ্ডে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
পুজোর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই জয়নগর ধর্ষণকাণ্ডে নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন তিনি। সেই বক্তৃতাতেই সাফ জানিয়ে দেন, জয়নগরের ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির সাজা হবে। গত অগস্ট মাসের ৯ তারিখে যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তাল বাংলার রাজনীতি। আর সেই আবহেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আবারও উৎসবের আবহে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। সেই ঘটনা নিয়েই নিজের মতামত স্পষ্ট করেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা দোষ করবে তাদের কড়া শাস্তি হবেই। রাজ্যে ইতিমধ্যে ৩টি ফাঁসির অর্ডার ইতিমধ্যে হয়েছে। আমি চাই কুলতলির ঘটনাতেও আগামী ৩ মাসের মধ্যে পুলিশ ফাঁসির অর্ডার দেবে। আমি চাই ঘটনাটারও ৩ মাসের মধ্যে সমাধান হোক। পুলিশ পকসো কোর্টে মামলা করে ৩ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে। যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করেন, আমি বলি বেশি করে করুন। এতে আমাদের শক্তি বাড়ে। আন্দোলন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সেই সঙ্গে এটাও প্রচার করুন যে ইউটিউবে যে খারাপ ভিডিওগুলো দেওয়া হয়, সেটা দেখে বাচ্চারা খারাপ জিনিস শিখছে। বাচ্চাদের মধ্যেও প্রবণতা বাড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু-একটি ঘটনা কখনও কখনও বাংলায় ঘটে গেলে চিৎকার চেঁচামেচি হাহাকার বেশি হয়। করা উচিত। অধিকার আছে। কিন্তু অন্য জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে সবাই মুখে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে বসে থাকে। কোনও প্রতিবাদ করে না। কেউ কি ইচ্ছে করে কোনও ঘটনা ঘটায়? মনে রাখতে হবে, আজকের দিনে এআই বেরিয়ে গিয়েছে। ধরুন আমায় দেখবেন, আমার গলা শুনবেন, কিন্তু ওটা ফেক। যাঁরা ধর্ষিতা নিয়ে ভিডিও করছেন তাঁরা জানেন না এটা করা যায় না? এতে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ক্রাইমের মধ্যে কোনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নেই।’’
সমাজমাধ্যমে ভুয়ো পোস্ট চিহ্নিত করতে পারলে রাজ্য সরকারের তরফে পুরস্কার-সহ চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে বলছি যে মেয়েরা প্রথমে অপরাধ সনাক্ত করতে পারবে, নকল ভিডিয়োগুলিতে ফেক লিখে পুলিশের কাছে পাঠাবে ফাস্ট, তাঁদের জন্য একশোটি পুরস্কার থাকবে। এবং তাঁরা চাকরিও পাবে দরকার হলে। সব কিছু সবার দ্বারা হয় না। এই কাজটা মেয়েরাই পারবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই এই সব উল্টোপাল্টা ভিডিয়ো দেখবেন,মেয়েদের দায়িত্ব দিচ্ছি। কারণ ছেলেরা টাইম পায় না। ওই ছবিটার উপরে ফেক লিখুন আগে। ফেসবুক হোক বা টুইটার। তারপর পুলিশকে পাঠিয়ে দিন। আপনারাই পারেন। মহিলারা জোট বাঁধুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy