ধৃত কওসর ওরফে বোমা মিজান।—নিজস্ব চিত্র।
ধরা না পড়লে, হয়তো বড়সড় নাশকতার ঘটনা ঘটে যেতে পারত। বাংলা-অসম তো বটেই, এমনকি ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে ‘জঙ্গি মডিউল’ তৈরি করে ফেলেছিল জামাতুল মুজাহিদিন (বাংলাদেশ)-এর অন্যতম নেতা কওসর ওরফে বোমা মিজান।
আপাতত লালবাজারে রয়েছে এই জঙ্গি নেতা। আরও নতুন তথ্য পেতে তাঁকে ফের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তার সঙ্গে আরও তিন সহযোগীকেও আনা হয়েছে লালবাজারে। মুজতফা আজমির, সহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল করিমকেও দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে ছিল কওসর। চলতি বছরে অগস্ট মাসে বেঙ্গালুরুর রামনগর থেকে কওসরকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
আরও পড়ুন: বিজেপির বড় ধাক্কা, রাহুলের হাসি চওড়া করল গোবলয়ের তিন রাজ্য
আরও পড়ুন: রাহুল আর ‘পাপ্পু’ নন, পরম পূজনীয়: রাজ ঠাকরে
প্রথম দফায় জেরার পর এসটিএফনতুন নতুন তথ্য পায়। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ফের কওসরকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান গোয়েন্দারা। আদালত তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতিও দিয়েছে।
‘নব্য জেএমবি’-কে কী ভাবে কাজে লাগাত বোমা তৈরিতে ওস্তাদ কওসর, সে বিষয়ে তথ্য পেতেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। বাংলাদেশে জেএমবি-র কার্যকলাপ ধাক্কা খাওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গে গোপনে ঘাঁটি তৈরি করে সংগঠন তৈরি করেছিল কওসর এবং অন্যতম সহযোগী ছিল সালাউদ্দিন সালেহিন।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার পরেওচুপ করে বসে থাকেনি নব্য জেএমবি। গত বছর জানুয়ারিতে দলাই লামার পরিদর্শনের ঠিক আগে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ছক কষেছিল কওসর। এর পাশাপাশি ফের এ রাজ্যে এসে মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো সীমান্তবর্তী জেলায় ‘মডিউলও’ তৈরি চেষ্টায় ছিল কওসর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy