রেলের পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। চাকরির নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে জালিয়াতি!
বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় স্বাস্থ্যকর্তাদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের সল্টলেকের আদালতে তোলা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জাল ওয়েবসাইট খুলে রেলে চাকরির টোপে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর একটি চক্র সম্প্রতি ধরা পড়েছে খাস কলকাতাতেই। সেই ঘটনায় ভবানীপুরের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা চলছিল ঠিক একই ভাবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে চাকরির খোঁজ করতে আসছিলেন অনেক তরুণ-তরুণী। তাঁদের অনেকে এমন সব পদে চাকরি চাইছিলেন, যেগুলোর অস্তিত্বই নেই। খোঁজখবর নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে পারেন, তাঁদের দফতরের ওয়েবসাইট নকল করে লোক ঠকানো হচ্ছে। সেই জাল ওয়েবসাইটে থাকছে স্বাস্থ্য দফতরের হরেক চাকরির ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে খালি পদ দেখিয়ে চাকরির টোপ দেওয়া হতো। সেই সব পদে চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার নামে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। এর পিছনে বড়সড় চক্র রয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তাদের সন্দেহ, এক চিকিৎসক ওই চক্রের পাণ্ডা। গত ১৯ অগস্ট স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্মসচিব দেবাশিস বসু ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে কামাল হাসান ওরফে রানা ও রবিউল আলম নামে দু’জনের খোঁজ পায় পুলিশ। দু’জনেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা। ই-মাধ্যম ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এই ভুয়ো ওয়েবসাইটের নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ সার্ভিস’। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছবি এবং পদাধিকারীদের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। ছিল বিভিন্ন ধরনের সরকারি পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তিও। সেই সাইট দেখে অনেকে চাকরির খোঁজ নিতে স্বাস্থ্য ভবনে তো আসছিলেনই। কেউ কেউ আবার জানান, তাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, নিয়োগপত্র নিতে এসেছেন। রেলের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ঠিক যে-ভাবে নকল নিয়োগপত্র দেওয়া হতো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy