Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Jadavpur University

প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইল যাদবপুর, উৎকর্ষ বজায় রাখতেই এই আবেদন

এর আগে অতিমারির কারণে লকডাউনের সময় প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় অনলাইনে পঠনপাঠনের জন্য অনেক পড়ুয়ারই স্মার্ট ফোন ছিল না। তা কিনে দিয়েছিলেন প্রাক্তনীরাই।

প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার ডাক দিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।

প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার ডাক দিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ২২:০৮
Share: Save:

আবারও প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বজায় রাখতে প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার ডাক দিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। জানালেন, সম্প্রতি আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে এই প্রতিষ্ঠান। ফলে এর মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। মান ধরে রাখতে গেলে পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই কারণেই আর্থিক সাহায্য চেয়ে প্রাক্তনীদের সংগঠনকে চিঠি দিলেন সুরঞ্জন।

২৪ অক্টোবর লেখা হয়েছে চিঠিটি। তাতে উপাচার্য লিখেছেন, ‘‘আমাদের পঠনপাঠন, বিশেষত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা বজায় রাখতে আমরা আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি। বিশ্ব মানের জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, তার মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোর উন্নয়ন,পড়ুয়াদের অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো এবং উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা প্রয়োজন।’’ এক্ষেত্রে অন্যতম বাধা যে অর্থের অভাব, তা-ও চিঠিতে জানিয়েছেন সুরঞ্জন। তিনি লিখেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বলে শিক্ষণের প্রক্রিয়ার খরচ দেয় সরকার। কিন্তু ক্রমে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অনুদান কমছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন প্রাক্তনীদের।

এর আগে অতিমারির কারণে লকডাউনের সময় প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় অনলাইনে পঠনপাঠনের জন্য অনেক পড়ুয়ারই স্মার্ট ফোন ছিল না। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন প্রাক্তনীরাই। সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন সুরঞ্জন। পাশাপাশি মনে করিয়ে দেন, সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুরের স্থান। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারত সরকারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)-এ গোটা দেশে উৎকর্ষতার নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর বাংলায় প্রথম স্থানে।’’

এর আগে আর্থিক সঙ্কট মেটানোর জন্য ‘প্রাক্তনী সেল’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাইলে ওই সেলের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে প্রাক্তনী সেল তৈরির ওই প্রস্তাব এসেছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়। উল্লেখ্য, যাদবপুরের এক প্রাক্তন শিক্ষক ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur University Education Alumni
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE