Advertisement
E-Paper

Narada Scam: সিবিআই হেফাজতে থেকেও বাইরের খবর পেলেন কী ভাবে? ববির হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের

হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, অভিযুক্ত কী ভাবে জানলেন, কারা কোথায় ছিলেন? তখন তিনি তো ছিলেন সিবিআইয়ের হেফাজতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৬:১৮
ফিরহাদ (ববি) হাকিম।

ফিরহাদ (ববি) হাকিম। ফাইল চিত্র।

নারদ স্টিং অপারেশনে টাকা নেওয়ার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের হলফনামা নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিশেষ করে ফিরহাদ সে-দিন (১৭ মে) গ্রেফতারের পরে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন বাইরে কী ঘটছিল, তা কী ভাবে জানলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।

ফিরহাদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মঙ্গলবার তাঁর মক্কেলের হলফনামা পেশ করে বলেন, ‘‘গ্রেফতারির সময় প্রচুর মানুষ ফিরহাদের বাড়ির কাছে তাঁর গাড়ির সামনে চলে এসেছিলেন। তিনি হাত জোড় করে তাঁদের সকলকে ফিরে যেতে বলেন। ২০১৭ সালে এফআইআরের পরে নারদ-তদন্তে কোনও রকম অসহযোগিতা করা হয়নি। সিবিআইয়ের দফতরের সামনের (নিজ়াম প্যালেসে) সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আনা হোক। কোনও মন্ত্রী (গ্রেফতারের দিন) বিশেষ আদালতের বিচারকের এজলাসে যাননি। রাজ্যের আইনমন্ত্রী সে-দিন আদালত-চত্বরে গেলেও তেতলায় বিচারকের এজলাসে যাননি।’’

তার পরেই হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, অভিযুক্ত কী ভাবে জানলেন, কারা কোথায় ছিলেন? তখন তিনি তো ছিলেন সিবিআইয়ের হেফাজতে। বাইরে কী হচ্ছে, তা তিনি জানলেন কী ভাবে? এই সব তথ্য তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন? ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘তাঁর আত্মীয়েরা গিয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকেই তিনি এই সব ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন।’’

সিবিআইয়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এর পরে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘বিশেষ আদালতে তিন-চার ঘণ্টা কেউ প্রবেশ করতে পারেনি, এ কথা বলা যায় না। সিবিআই সশরীরে গিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিল। অথচ নিজেরাই আবার ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করল। ওই আদালতে সে-দিন আরও মামলা হয়েছে। সেখানে শুধু সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে সিবিআই। বলা হচ্ছে, হাজার মানুষের ভিড় ছিল। কিন্তু বাস্তবে কোথাও তা দেখা যায়নি। সিবিআইয়ের তরফে কলকাতা পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।’’

বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তখন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এঁরা জননেতা। তাই জনমানসে প্রভাব হতেই পারে। সে-ক্ষেত্রে সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে মামলা স্থানান্তরের যে-আবেদন করেছে, সেই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?” বিচারপতির এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘মামলা স্থানান্তরের বিষয়টি ই-মেল করে জানিয়েছিল সিবিআই। কখনও মামলা স্থানান্তর, কখনও হাই কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে সওয়াল করছে ওরা। সিবিআই যেন মহম্মদ আলি! প্রজাপতির মতো উড়ছে আর মৌমাছির মতন হুল ফোটাচ্ছে।’’

আজ, বুধবার ফের শুনানি আছে।

CBI Calcutta High Court Narada Scam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy