চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা ভেবেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা হবেন না। — ফাইল ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষে একেবারেই নন। শুক্রবার জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নতুন প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই প্রাথমিকের একটি মামলা চলাকালীন আশ্বস্ত করলেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা ভেবেই কোনও মতে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
বিচারপতির কথায়, ‘‘আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াব না। হস্তক্ষেপও করব না।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ-ও জানিয়েছেন, খুব গুরুতর অভিযোগ এলে মামলা চলতে পারে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনও ভাবেই বন্ধ হবে না। শুক্রবার তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যদি কোনও অভিযোগ বা মামলা হয়, তার বিচার চলতে পারে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে আমি নই। যদি না এমন কোনও খুব গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে, যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’’
বিচারপতি এ-ও বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থেই তিনি কোনও রকম বাধা হতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘এটা চাকরিপ্রার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়। তাঁদের চাকরি দেওয়াটা জরুরি। আমি চাই স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবে পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাক।’’
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বার বার নিজের বিভিন্ন রায় ঘোষণার সময় চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২১ জন চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের আসন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৬ জন এবং ২০১৭ সালের ৫ জন টেটে অংশগ্রহণকারী মামলাকারীরা নতুন নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই ২১ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন পর্ষদকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। পুজোর আগেই ওই ঘোষণা করেছিলেন পর্ষদ চেয়ারম্যান গৌতম পাল। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ওই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকের ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy