মিছিলের অনুমতি চেয়ে ৩০ থেকে ৪০টি মামলা এসেছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নবান্ন অভিযানে আপত্তি কেন? রাজ্যকে প্রশ্ন করল কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্রতিবাদ জানানো তো মানুষের মৌলিক অধিকার! আর এ ক্ষেত্রে যাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারেরই কর্মচারী। রাজ্য এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। কিন্তু কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না।’’
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে নবান্ন অভিযান কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। সেই মামলা প্রসঙ্গেই বিচারপতি বলেন, ‘‘মিছিল করার অনুমতি চেয়ে ৩০ থেকে ৪০টি মামলা আমার কাছে এসেছে। কিন্তু মিছিল করার জন্য কেন আদালতকে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হবে?’’ এর পরই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে অসুবিধা কোথায়? বিরোধিতা করা বা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা তো মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। স্কুল, কলেজ, বাজার, অফিস রয়েছে বলে মিছিলের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা যায় না।’’
আগামী বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। সেই মামলার শুনানিতেই আদালত বলে, ‘‘আন্দোলনকারীরা নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে চাইছে। তা যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়, তবে বাধা দেব কেন? এই ধরনের কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে কিন্তু বাধা দিতে পারে না।’’
প্রসঙ্গত, ডিএ মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। সেই প্রসঙ্গ আদালতে উত্থাপন করা হলে বিচারপতি মান্থা পাল্টা বলেন, ‘‘মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ঠিকই। কিন্তু শীর্ষ আদালত তো আন্দোলন করতে নিষেধ করেনি!’’ এর পরে অবশ্য বিচারপতি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হবে তাঁর এজলাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy