মহম্মদ আসিফ।
নিজের ঘরকে ছোটখাটো পরীক্ষাগারই করে ফেলেছিল কালিয়াচক খুনে ধৃত মহম্মদ আসিফ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে আইফোন-ও ব্যবহার করত। তার সাহায্যে বাড়ির সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে কম্পিউটার, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করত। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করত ‘টর সফটওয়্যার।’ পুলিশের সাইবার বিভাগের কর্তাদের দাবি, এই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে কেনাবেচা করলে ক্রেতা-বিক্রেতার পরিচয় গোপন থাকে। ফলে সে ‘টর’-এর মাধ্যমে আদতে কী কী কিনেছিল, তা দেখা হচ্ছে।
আসিফের সাইবার জগতও খুনের নেপথ্যে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মত তদন্তকারীদের। তাঁদের প্রশ্ন, পরিবারের সকলকে খুন করা পিছনে কি শুধুই টাকার লোভ? সে কি অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়ছিল? যার প্রতিবাদ করায় পুরো পরিবারকে খুন হতে হল? ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল আসিফ। ঘটনার ৯ দিনের মধ্যে হ্যাকার সন্দেহে আসিফকে আটক করেছিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আসিফের কাছ থেকে একটি করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ৬টি হার্ড ডিস্ক, মনিটর পাওয়া গিয়েছিল। তবে হ্যাকিং সম্পর্কিত কোনও তথ্য আসিফের কাছ থেকে মেলেনি বলে দাবি পুলিশের।
আসিফের কাছ থেকে একাধিক পুলিশ অফিসারের ফোন নম্বর, ছবি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তের প্রয়োজনে আসিফকে ফোন করা হয়েছিল। সেই সুবাদে কয়েক জন অফিসারের নম্বর, ছবি চলে আসে তার ফোনে। পুলিশ অফিসারের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল বলে যা শোনা যাচ্ছে, তা ঠিক নয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আইফোন থেকে যাবতীয় বিষয়বস্তু ডিলিট করে ফেলেছে আসিফ। সে সব উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হবে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ঘটনার সমস্ত কিছুই খুব গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy