মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্নের জেরে ফের ভোগান্তির মুখে পড়লেন যাত্রীরা। নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে বিভ্রাটের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছু আগে থেকে বেশ কিছু ক্ষণ পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে যাত্রীদের মধ্যেও অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। শেষে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পরে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের উদ্দেশে রওনা দেয় মেট্রো।
এই বিভ্রাটের জন্য মেট্রো পরিষেবায় বিলম্ব হওয়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বিভ্রাটের কারণে ওই সময়ে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ যাত্রীদের একাংশের। পরে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিট থেকে লাইন দিয়ে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করানো হয়। এই বিলম্বের কারণে যাত্রীদের ভিড় বৃদ্ধি পেতে থাকে স্টেশনে। ফলে দক্ষিণেশ্বর থেকে দৃশ্যত ভিড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা তৈরি হয় দুপুর ১২টা ১ মিনিটের কবি সুভাষগামী মেট্রোয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দমদম এবং নোয়াপাড়ার মাঝখানে একটি পয়েন্ট খারাপ হয়ে যায়। ফলে দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে ভাঙাপথে মেট্রো চালাতে হয়। দমদম এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। সকাল ১১টা ৫০ নাগাদ পয়েন্ট ঠিক করে সম্পূর্ণ পথে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। যদিও পরিষেবা শুরু হলেও তা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে বলে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
কলকাতার যানজট এড়িয়ে স্বল্প সময়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে অনেকেই মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করেন। কিন্তু এই বিভ্রাটের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক অফিসযাত্রীকেও। গত মাসের শেষের দিকে, ২৮ এপ্রিল অনিয়মিত মেট্রো পরিষেবার জন্য দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছিল যাত্রীদের। ওই দিন সকাল প্রায় ৯টা থেকে আপ এবং ডাউন— দুই লাইনেই অনিয়মিত ভাবে মেট্রো চলছিল— ট্রেন আসছিল নির্ধারিত সময়ের পরে। একের পর এক স্টেশনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনগুলি থমকে গিয়েছিল। বিলম্বিত পরিষেবার জেরে নাকাল হতে হয়েছিল যাত্রীদের।