রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে) এবং অরিত্র মজুমদার। যাদবপুরকাণ্ডে নজরে এই দুই ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের তলবে যাদবপুর থানায় গেলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদারকে। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি থানায় ঢোকার আগে হাসিমুখে বলেন, ‘‘আপাতত যাই। কথা বলে আসি (পুলিশের সঙ্গে)।’’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটিও আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার অরিত্রকে ডেকে পাঠিয়েছেন। বুধবার সকালে ডিএসএফের ছাত্রনেতা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, তিনি সদ্য ট্রেকিং করে ফিরেছেন। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তিনি ক্লান্ত। এ নিয়ে পরে কথা বলবেন। দু’দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। কিন্তু তার আগেই তাঁকে ডেকে পাঠাল পুলিশ।
অন্য দিকে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুরের আরও এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে যাদবপুর থানার পুলিশ। বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকেও বুধবার থানায় তলব করা হয়েছে খবর।
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রভাবশালী’ ছাত্রনেতা হিসাবে পরিচিতি রয়েছে অরিত্র। তাঁর কথায় একসময় ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের সমস্ত জিবি বৈঠক, আন্দোলন পরিচালিত হত। সর্বদাই আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্বও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু, এ ঘটনা চলাচালীন কেন তিনি অনুপস্থিত, কেন তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ— এ সব বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পর ফেসবুক পোস্টে অরিত্র দাবি করেছেন যে ঘটনার পরের দিনই তিনি দিল্লি যান। সেখান থেকে বেড়াতে যান কাশ্মীর।
তিনি কাশ্মীর যাওয়ার প্রমাণ হিসাবে ফ্লাইটের টিকিটের ছবি পোস্ট করেছেন। যদিও সেই টিকিটের ছবি নিয়ে বিতর্ক বাধে সমাজমাধ্যমে। অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খাতায় ঘটনার দিন তাঁর সই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠায়। তার আগে পুলিশের ডাকে যাদবপুর থানায় গেলেন অরিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy