মহিলা কণ্ঠ নকল করে অনায়াসে কথা বলতে পারেন তিনি। ‘মিষ্টি-মেখলা’ নামে ফেসবুকে মহিলার প্রোফাইল বানিয়ে তাই পুরুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেও বেশি কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি হলদিয়ার বাসিন্দা সৌমেন দাসকে।
এ ভাবেই পর্যটন নিয়ে পড়াশুনা করা তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিলেন কসবার রাজডাঙা মেন রোডের বাসিন্দা সুমিত দাস। প্রথমে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, তার পরে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান এবং নিয়মিত কথা। মোবাইলের অন্য প্রান্তে যে তরতাজা এক যুবক মহিলা কণ্ঠ নকল করে তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঘূণাক্ষরেও তা টের পাননি সুমিত। এমনকী পুলিশও জানিয়েছে, বুঝতে পারলে সৌমেনের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ৪৫ হাজার ৩০০ টাকা পাঠাতেন না সুমিত। ওই টাকা নিয়ে সুমিতকে অনলাইন শপিং মারফত কিছু জিনিস কিনে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন সৌমেন। কিন্তু বহুদিন অপেক্ষা করেও কিছু না পেয়ে গত বছর জুলাই মাসে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন সুমিত। তত দিনে অবশ্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন সৌমেন।
এর এক বছর পরে অবশেষে সেই সৌমেনকে খুঁজে বার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে হলদিয়া থেকে সৌমেন ও তাঁর বন্ধু জয়ন্ত কোটালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সৌমেনকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তের বিরুদ্ধে।
এ দিকে, ভুয়ো সংস্থার নথিপত্র দেখিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অভিযোগে বুধবার মধ্য কলকাতার মৌলালি ও বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার হয়েছে তিন জন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম অসীম মোহান্তি, কামরান আহমেদ ও দীপক রায়। ২০১৫-র জুন মাসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কাদ্রেশ্বর বেহারা লালবাজারে অভিযোগে জানান, পাঁচ ব্যক্তি ব্যাঙ্কের মানিকতলা শাখায় ভুয়ো সংস্থার নথি জমা দিয়ে ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আর শোধ করেননি। অভিযুক্ত বাকি দু’জনকে খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy