Advertisement
E-Paper

প্রতারণায় ব্যবহৃত প্রবীণার অ্যাকাউন্ট, ধৃত ২

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিষেক তিওয়ারি এবং তিস্তা সেন। তাদের থেকে নগদ তিন লক্ষ টাকা-সহ উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, ল্যাপটপ এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

রাজারহাটের একটি রিসর্ট থেকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।

রাজারহাটের একটি রিসর্ট থেকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৬
Share
Save

প্রতারণার টাকা যাচ্ছে হাওড়ার এক বৃদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অথচ সে সম্পর্কে জানেনই না ওই বৃদ্ধা। শেষ পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টের সূত্রেই কলকাতা পুলিশ সামনে আনল একটি ভুয়ো বিনিয়োগ চক্র। ঘটনায় রাজারহাটের একটি রিসর্ট থেকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিষেক তিওয়ারি এবং তিস্তা সেন। তাদের থেকে নগদ তিন লক্ষ টাকা-সহ উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, ল্যাপটপ এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ করলেই মোটা টাকা লাভ হতে পারে, এই হাতছানি দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। সেই চক্রের ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই সময়েই পুলিশের নজরে আসে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা হাওড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধার নামে রয়েছে। তদন্তে নেমে দেখা যায়, ওই বৃদ্ধাকে ব্যাঙ্কের কাজে সাহায্য করার নামে দু’জন প্রতারণার টাকা রাখার জন্য ব্যবহার করছে ওই অ্যাকাউন্টটি। দু’দফায় প্রতারণা করে পাওয়া প্রায় দেড় লক্ষ টাকা সেখানে জমা পড়েছে। পুলিশ নজরদারিতে দেখে যে, শুধু ওই বৃদ্ধার অ্যাকাউন্টই নয়, আরও কয়েক জন প্রবীণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ ভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বৌবাজারের বাসিন্দা মুনিরা সফাদার নামের এক মহিলা প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করার পরে এ নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

কিন্তু নজরদারি চালালেও অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। জায়গা বদলে থাকছিল তারা। এর পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে রাজারহাটের একটি রিসর্টে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই অভিষেক ও তিস্তাকে ধরা হয়। ধৃতদের থেকে নগদ টাকার পাশাপাশি, একাধিক ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে ৩১টি এটিএম কার্ড, ১৯টি স্ট্যাম্প, ৯টি প্যান কার্ড, একটি করে ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, ১৭টি চেকবই, ২টি ব্যাঙ্কের পাসবই, অসংখ্য বাণিজ্যিক লাইসেন্স যা পুরসভা থেকে বানানো। এ ছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর, মেল আইডি, পাসওয়ার্ড-সহ প্রায় ২৪৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য লেখা ফাইল।

পুলিশের সাইবার শাখার কর্তাদের দাবি, এই পদ্ধতিতে আরও কয়েক জনের কাছে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়ে থাকতে পারে। ধৃতদের জেরা করে এ নিয়ে বাকি তথ্য মিলবে। তবে যে বৃদ্ধার সূত্রে এই গ্রেফতারি, তাঁর সঙ্গে ধৃতদের কোনও সামাজিক সম্পর্ক আছে কি না, তা পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Fraud

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}