E-Paper

উড়ালপুলের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাইক, মৃত্যু তরুণ ও তরুণীর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু’জনের নাম আদিত্য সিংহ (২১) এবং নেহা সিংহ (২৭)। আদিত্যর বাড়ি কিরণশঙ্কর রায় রোডে। নেহা বাগুইআটির বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশেরঅনুমান, বাইকের অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৬:৫১
দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে জুতো। রবিবার, মা উড়ালপুলে।

দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে জুতো। রবিবার, মা উড়ালপুলে। —নিজস্ব চিত্র।

বন্ধুর মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন এক যুবক। বাইকের পিছনে বসিয়েছিলেন বান্ধবীকে।চিংড়িঘাটার দিক থেকে উঠে মা উড়ালপুলের উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার পথে একটি বাঁকে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। সেটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে উড়ালপুলের রেলিংয়ে। বাইকের চালক এবং আরোহীদু’জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরাদু’জনকেই মৃত বলে জানান। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মা উড়ালপুলের উপরে, কড়েয়া থানার অংশে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু’জনের নাম আদিত্য সিংহ (২১) এবং নেহাসিংহ (২৭)। আদিত্যর বাড়ি কিরণশঙ্কর রায় রোডে। নেহা বাগুইআটির বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশেরঅনুমান, বাইকের অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা। গতির কারণে উড়ালপুলের বাঁকে কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি।দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়েমুচড়ে যায় বাইকের সামনের অংশ। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’জনেরকেউই হেলমেট পরে ছিলেন না।

জানা গিয়েছে, আদিত্য মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন নেহা।পথচলতি লোকজন প্রথমে পুলিশকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। এর পরে কড়েয়া থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করেএসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যায়। সেখানেই দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক ভাবে দু’জনের পরিচয় জানতেপারেনি পুলিশ। পরে মোটরবাইকের নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত ফোনের সূত্র ধরে বড়তলা থানা এলাকায়আদিত্যের বন্ধুর কাছে যায় পুলিশ। তার পরেই আদিত্যেরবন্ধুর বাইক নিয়ে বেরোনোর বিষয়টি জানতে পারেকড়েয়া থানা।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন ন‌েহা এবং আদিত্যর বাড়িরলোকজন। নেহার মা রিনা সাউ তখনও মেয়ের মৃত্যুর খবরজানতেন না। সেই কথা জানার পরেই হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে রিনা আর্তনাদ করে ওঠেন।কান্নায় ভেঙে পড়েন নেহার এক আত্মীয় এবং বাড়ির দুই খুদে সদস্যও। তাঁদের সঙ্গে থাকা এক যুবক জানান, নেহা পড়াশোনা করতেন। নেহা এবং আদিত্য বন্ধু ছিলেন।হাসপাতালে উপস্থিত আদিত্যের জেঠতুতো ভাই সুমিত সিংহ জানান, আদিত্য কাশীপুরের টিএইচকে জৈন কলেজের বি কমেরছাত্র ছিলেন। তবে আদিত্য এবং নেহা কোথায় গিয়েছিলেন, তা দুই পরিবারের কেউই জানেন না। এ দিন হাসপাতালে আদিত্যর বন্ধু অরুণ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আদিত্য খুব হাসিখুশি ছেলে ছিল।’’

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, উড়ালপুলের উপরেতখনও রয়েছে রক্তের দাগ। ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে বাইকের ভাঙা অংশ, তরুণীর জুতো।দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াড। বাইকটি উড়ালপুল থেকে উদ্ধার করে কড়েয়া থানায় নিয়ে যাওয়াহয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Accident Death Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy