Advertisement
E-Paper

ব্যবসায়ী হত্যায় ভাড়াটে খুনিই

ভাড়াটে খুনি লাগিয়েই বরাহনগরের বাসিন্দা, ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী কার্তিক প্রসাদকে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচ যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতারের পরে এমনটাই দাবি পুলিশের। তবে, ঘটনার মূল চক্রান্তকারী ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এখনও অধরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৭:৩১

ভাড়াটে খুনি লাগিয়েই বরাহনগরের বাসিন্দা, ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী কার্তিক প্রসাদকে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচ যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতারের পরে এমনটাই দাবি পুলিশের। তবে, ঘটনার মূল চক্রান্তকারী ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এখনও অধরা।

ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘খুনের প্রাথমিক কারণ আমাদের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু ইসলাম গ্রেফতার হলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। কার্তিককে খুনের জন্য সে-ই ধৃতদের সুপারি দিয়েছিল।’’ পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ রাজা, রাজু, মাল্লু, পাপ্পু এবং শাহজাদা। সকলেই কামারহাটির বাসিন্দা। পাঁচ জনের মধ্যে রাজা, রাজু এবং মাল্লুকে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকি দু’জনকে রবিবার ভোরে ধরা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও।

এই ঘটনায় গত ১২ জুন কাশীপুর থেকে মহম্মদ রেজ্জাক ওরফে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার নম্বর থেকেই কুড়ি বার ফোন গিয়েছিল কার্তিকের মোবাইলে। তার পরেই তিনি খুন হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন সন্ধ্যায় বরাহনগরের মহারাজা নন্দকুমার রোডের দানীপাড়ার কাছে একটি গলির ভিতরে গুলি করে খুন করা হয় কার্তিককে। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছিল, কাশীপুরের দাঁতুনিয়া পাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি থেকে লোহার ছাঁট কেনাবেচা করেন। সেই কারবারে এবং কারখানার ঠিকাদারদের থেকে তোলা আদায়ে নিজের আধিপত্য কায়েম রাখতে গিয়েই অপর পক্ষের সঙ্গে বিবাদ শু‌রু হয়েছিল কার্তিকের। সেই সূত্রেই ইসলামের নাম উঠে এসেছে। কার্তিককে খুনের সময়ে ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ আরও জেনেছে, সঞ্জয়কেও ব্যবহার করেছিল ইসলামই।

Businessman police arrest murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy